ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া থানা এলাকায় ৭ম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রমজান আলীর বিরুদ্ধে। রমজান আলী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ঢোলারহাট ইউনিয়ন ধর্মপুর গ্রামের মোস্তফা কামালের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ২২ মে রবিবার দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ীতে ফেরার পথে রমজান আলী চপড়া পাড়া পুকুর পারে দেখা হলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ওই ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাঁশঝাড়ে নিয়ে গিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। সাথে ধর্ষক রমজান এর সাথে থাকা অজ্ঞাত দুই সহযোগী পাহাড়ায় ছিল। পরে ধর্ষক রমজান ওই ছাত্রীকে জানায় আমি বিবাহিত আমি তোমাকে বিয়ে করব না। ফলে লজ্জা ভয়ে কাউকে বলতে না পেরে নিরুপায় হয়ে বাড়িতে গিয়ে পরদিন ২৩ মে আত্মহত্যা জন্য বিষপান করলে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে অবস্থার উন্নতি হলে পরিবারের লোকজনের চাপে একপর্যায়ে ওই ছাত্রী ধর্ষণের কথা শিকার করে। পরে গত ২৭ মে রবিবার ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে রুহিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সালের ৯(১)/ ৩০ ধারায় মামলা দায়ের করে যার মামলা নং-৯।
এব্যাপারে মামলার বাদী জানান, আমি একজন অসহায় প্রতিবন্ধী মানুষ কোন মতে ভেন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ কেন করলো আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
রুহিয়া থানা ওসি চিত্র রঞ্জন রায় জানায়, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। রমজান আলীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।