শশী ভূষণপ্রতিনিধি:
ভোলার দৌলতখানে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে ভোলা সদর থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ড। বুধবার (০২ মার্চ) সকালে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া তুলাতুলী মাছঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার করা মরদেহটি দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বেড়িবাঁধ এলাকার মৃত কয়সর আহমেদের ছেলে মো: মমিনের (২৫)। তার ভাই হুমায়ুন মাঝি ও আজগর মাঝি ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান জানান, মেঘনায় মাছ ধরার সময় তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে গিয়ে তিন জেলে নিখোঁজ ছিল। তাদের মধ্যে দুই জেলেকে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযানে উদ্ধার করেছে। আজকে মমিন নামের একজন উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ ভোলা সদর উপজেলা ধনিয়া তুলাতুলী মাছঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ জেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে সদর থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে সদর থানা পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলার মালিক আবদুর রহমান বাদী হয়ে তাসরিফ-২ লঞ্চের চালক ও শুকানিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন । তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে হাতিয়াগামী এমভি তাসরিফ-২ লঞ্চের ধাক্কায় ৯ জেলেসহ মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবে যায়। তাদের মধ্যে ছয় জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ ছিলেন তিন জেলে। ২৪ ফেব্রুয়ারী দুই জেলের মরদেহ ও আজ ২ মার্চ আরোও এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের সকলের বাড়ি চরপাতা বেড়িবাঁধ এলাকায়।