ডেস্ক নিউজ :
র্যাব-৭, চট্টগ্রামের অভিযানে ফেনী হতে ২৯৫ বোতল ফেন্সিডিল এবং ৪৪ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০১ টি প্রাইভেটকার জব্দ।
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাইভেটকার যোগে মাদকদ্রব্য বহন করে বিক্রির উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রাম এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং তারিখ সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা প্রাইভেটকারটি থামানোর সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা গাড়ীসহ আসামী ১। সাদ্দাম হোসেন (২৭), পিতা- মোঃ শফিক, সাং- কমলনগর, থানা- লক্ষীপুর সদর, জেলা- লক্ষীপুর এবং ২। আরিফ হোসেন (৩০), পিতা- মিজানুর রহমান, সাং- শুভপুর, থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনীদ্বয়কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের হেফাজতে থাকা উক্ত প্রাইভেটকারের পিছনের সিটের উপর ও ব্যাকডালার মধ্য হতে ০২ টি প্লাস্টিকের এবং ০১ টি চটের বস্তার ভিতর হতে মোট ৪৪ কেজি গাঁজা ও ২৯৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
৩। আটককৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজসে ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা এবং ফেন্সিডিল কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।