মানব সময় ডেস্ক নিউজ :
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী এলাকা হতে ৯৩,৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ একজন মাদক ব্যবসায়ী আটক।
১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন বৈরাগী এলাকায় একটি বাসভবনে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ রেখেছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০২ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ১৪০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ আব্দুর রহিম (৩০), পিতা-মোঃ ইলিয়াস, সাং-বদলপুরা, থানা-কর্ণফুলী, জেলা-চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে খাটের নিচে দুটি প্লাষ্টিকের বস্তায় বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় আসামীর নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে ইট সাদৃস্য স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো অবস্থায় মোট ৯৩,৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন যাবৎ কক্সবাজার জেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ইয়াবা সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।