সাহিত্যে মানব সময় –
চন্দ্রিমা আলোয় রুপালী শাড়ী জড়িয়ে গায়
চাঁদ তার কলঙ্ক লুকিয়ে যায়
তবুও….
আধারী ভুবনে যখন জোছনার গলে গলে পড়া
পূর্ণিমার সরোবরে অবগাহনে ব্যস্ত এ ধরা
তখন…
চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় বুঝি পুষ্পেরও গন্ধবিলাশ
তাই সবটুকু নিংড়ে তারা দিয়ে যায় সুবাস
ঝরে পরা জোছনায় কেবা খুঁজে বেড়ায়
চাঁদেরও আছে যে এক অদেখা অদৃষ্ট ,
মাঝে মাঝে তাই চাঁদও মেঘেতে লুকায়
বুকে নিয়ে ঘোর অমানিশার কষ্ট ।
সূর্যের কাছে জন্ম জন্মান্তর চাঁদের ঋণের দায়
তবুও চাঁদ তিলে তিলে নিরবে নিজেকে বিলায়
ভরা জোছনায় আধারি রাত
চাঁদনী মায়ায় নিজেকে সাজায়
আড়ালে থেকে হাসছে গ্রহণ কি এক অপেক্ষায়
একটা সময় সূর্য গ্রাসে চাঁদের আত্মগোপন
ঘোর আধারে নিচ্ছিদ্র কালোয় ডোবে যে ভুবন ,
আকাশের বুকে যখন জোছনার গড়াগরি খেলা
অবোহেলায় নিঃশ্চুপ লক্ষ তারার মেলা ।
অমানিশা গ্রাসে চাঁদ ভাসে মরা জোছনায়
তারাদেরও আছে আলো , চাঁদ নিজেকে ভুলায়
কে আর মনে রাখে হায়
রুপালী চাঁদের জোছনা ঝরানো কথা
কেউ কি আর ভাবে কখনো
চাঁদেরও থাকে কলঙ্ক লুকানো ব্যাথা ।।