হোসেন বাবলা:
আ’লে রসূল আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) ১৯৭৪ ইং সনে পবিত্র জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দরূদ) এর প্রবতর্নের ৫০তম রজত জয়ন্তী দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া
সুন্নিয়া ট্রাস্ট ব্যবস্থাপনায় হুজুর কেবলা আওলাদে রাসূল আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ (মাঃজিঃআঃ) ।
এছাড়া হযরতুলহাজ্ব আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ (মাঃজিঃআঃ) ও সাহেবজাদা আওলাদে রাসূল, হযরতুলহাজ্ব আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মাঃজিঃআঃ) অংশগ্রহণে ১২ই রবিউল আউয়াল,গতকাল ৯ অক্টোবর , রবিবার সকাল ১০টায় জশনে জুলস নগরীর মুরাদপুর, চকবাজার, চট্টগ্রাম কলেজ, গণি বেকারী, কাজির দেউরি, ওয়াসা,জিইসি, ২ নং গেইট প্রদক্ষিণ শেষে জামেয়া জুলুস ময়দানে মাহফিলে মিলিত হন।
লক্ষ লক্ষ মানুষ কালেমা, সালআতুস সালাম, লিখিত পোস্টার, পেস্টুন, ব্যানার হাতে নিয়ে হামদ, নাত,গজল আর নারায়ে তাকবির, নারায়ে রিসালাত, নারায়ে গাউসিয়া শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম।
প্রধান অতিথি তাঁর বলেন- বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত রাহমাতুল্লিল আলামিন হজরত মুহাম্মদ (দ.) এর শুভাগন বিশ্ববাসীর জন্য সবচেয়ে বড় রহমত, আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় অনুগ্রহ। মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী এ রহমত ও অনুগ্রহ প্রাপ্তিতে মহান আল্লাহর শোকরিয়া আদায় ও খুশী উদযাপন করতে হবে। এ খুশী উদযাপনের উত্তম পন্থা জশনে জুলসে ঈদে মিলাদুন্নবী। যা ১৯৭৪ সালে গাউসে জমান আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ রাহমাতুল্লাহি আলাইহির নির্দেশক্রমে আনজুমান এ রহমানিয়া
আহমদিয়াসুন্নিয়া ট্রাস্ট শুরু করেছে। আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রা.) এ এ জুলুসের দীর্ঘ নেতৃত্ব দিয়েছেন এরপর বর্তমান হুজুর কিবলা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.)’র সময়ে এ জুলুসের ব্যাপ্তি ঘটেছে।
এবার প্রায় লাখো লাখো মানুষ জুলুসে অংশগ্রহণ করেছেন। এ জুলুস রাহমাতুল্লিল আলামিনের প্রতি গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। উম্মতে মুহাম্মদীর উপর কর্তব্য হচ্ছে হুজুন পাক (দ.)কে
নিজের জান-মালের চেয়ে বেশি মুহাব্বত করা।
আজকের এ জশনে জুলুসে বাংলার আপামর জনগণ দেখিয়ে দিয়েছেন নবীজির প্রতি তাদের মুহাব্বত। বানিয়ে জমেয়া আল্লামা সৈয়্যদ আহমদ শাহ সিরিকোটি (রা.) নবীজির মুহাব্বত ও ভালোবাসাকে উম্মতে মুহম্মদির অন্তরে জাগ্রত করতে চৌহর শরীফ হয়ে সিরিকোট, আফ্রিকা, রেঙ্গুন এরপর বাংলার জমিনে তশরিফ এনেছেন। এখানে এসে মুহাব্বতের বীজ বপন করেছেন আনজুমান ও জামেয়া প্রতিষ্ঠা করে। আর আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রা.) জশনে জুলুস ও গাউসিয়া কমিটি প্রতিষ্ঠা করে
রাহমাতুল্লিল আলামিনের ইশক্ধসঢ়; ও মুহাব্বত এবং নবীজির মানবতার বাণী দিগদিগন্তে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে দাওয়াতে খায়ের কর্মসুচি উম্মতে মুহাম্মদিকে আমালিয়াতের সঠিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে।
গাউসিয়া কমিটি করোনাকালে মানবতার যে সেবা করেছে তা আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। জশনে জুলসের ব্যাপ্তি, গাউসিয়া কমিটির অর্জন আর দাওয়াতে খায়ের প্রোগাম এর প্রচার প্রসারে আনজুমান ও গাউসিয়ঢা কমিটির দায়িত্ব আরো
অধিক বেড়ে গিয়েছে।
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট আয়োজিত ঐতিহাসিক জশনে জুলুস শেষে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত মিলাদুন্নবী মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা পীর সৈয়দ সাবির শাহ এ কথাগুলো বলেন। আওলাদে রাসুল রাহনুমায়ে শরিয়ত ও তরিকত মুর্শিদে বরহক আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.)’র সভাপতিত্বে আয়োজিত জশনে জুলুস ও মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাশিম শাহ (ম.জি.আ.), চট্টগ্রাম
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধ এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন এম.পি, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান,এটিএম পিয়ারুল ইসলাম।
বক্তব্য রাখেন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন ও সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন তাঁর বক্তব্যে বলেন- বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাস্ট্রীয়ভাবে পবিত্র ঈদ-এ- মিলাদুনèবী (দ.) উদযাপনের ঘোষনা দেওয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিশ্বেও সর্ববৃহৎ জশনে জুলুস হিসেবে স্বীকৃত এ জুলুস ধর্মীয় র্যালীকে ওয়ার্ল্ড গ্রীনিজ বুকে রেকর্ডের দাবী জানান।
এতে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. কিউ. আই চৌধুরী, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সমশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, এসিস্টেন্ট জেনারেল মোহাম্মদ সেক্রেটারি এস.এম. গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ এনামুল হক বাচ্চু, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, গাউসিয়া কমিটি বাংলদেশ’র চেয়ারম্যান
পেয়ার মোহাম্মদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যন মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মহাসচির মুহাম্মদ সাহাজাদ ইবনে দিদার, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব তছকির আহমদ
মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ আনিসুজ্জমান ও মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হাশেম এর সঞ্চালনায় সকাল থেকে জশনে জুলুস মাহফিলে সম্মানিত ওলামায়ে কেরাম বিভিনè বিষয়ের উপর বক্তব্য পেশ করেন- জামেয়া আহমদিয়া সুনিèয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়্যদ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান, মাওলানা কাযী মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন আশরাফী, মুফতি কাযী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ, হাফেয মাওলানা মুহাম্মদ সোলাইমান আনসারী, হাফেয মাওলানা মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আলক্বাদেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ, অধ্যক্ষ হাফেয কাযী মুহাম্মদ আবদুল আলীম রেজভী, উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ আবু তৈয়্যব চৌধুরী ও অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা আবুল কালাম আমিরী, হাফেজ