মানব সময় ডেস্ক :
আজ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর’২৪) ইসকন নেতা চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে ইসকন নামধারী সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বিচারকদের কক্ষে হামলা ও চত্ত্বরে গাড়ি ভাঙচুর এবং মুসলিম হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়াও আরো ৮/১০ জনকে মারাত্মকভাবে আহত করে। কোর্ট বিল্ডিং জামে মসজিদ, লালদিঘী জামে মসজিদে হামলা, এছাড়াও কোতোয়ালী, নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় তারা তান্ডব চালায়। উক্ত সন্ত্রাসী হামলা ও ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর, সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল ইসকন নেতা চিন্ময় দাস ব্রহ্মচারীকে এক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সকাল ১১টায় তাকে চট্টগ্রাম আদালতে জামিনের জন্য তোলা হলে সেখানে আগে থেকে ইসকন নামধারী সন্ত্রাসীরা জড়ো হয়। জামিন নামঞ্জুর হলে প্রথমে বিচারকদের কক্ষে হামলা, পরে আশেপাশে এলাকায় তান্ডব শুরু করে, উপস্থিত সাধারণ জনতার ওপর হামলা করতেও তারা দ্বিধা করেনি। ইতোপুর্বেও তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আন্দরকিল্লা হাজারি গলিতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর এসিড সন্ত্রাস চালিয়েছিল। তারাই আজ চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র আদালত ভবনে হামলা ও পরিকল্পিত ভাবে একজন আইনজীবীকে হত্যার মাধ্যমে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে। এই ঘটনায় দেশবাসীর পাশাপাশি গণমানুষের সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উদ্বিগ্ন। আমরা অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতারকৃত একজন হাইপ্রোফাইল বন্দীকে আদালতে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের আরো বেশী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়া জরুরী ছিলো বলেও নেতৃবৃন্দ অভিমত ব্যক্ত করেন।