মা স ডেস্ক :
বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক র্যাব-৭, চট্টগ্রামের বরাবর উপর্যপুরী এবং প্রত্যক্ষ কিছু অভিযোগ গৃহীত হয় যে, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর আওতাধীন ফেনী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্নভাবে অবৈধ উপায়ে চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে। বিশেষ করে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিক্সা ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আরও কিছু চাঁদাবাজির অভিযোগ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে ২০২৪ইং র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁন্দগাও এবং ফটিকছড়ি থানা এলাকায় পৃথক দুইটি অভিযান পরিচালনা করে ১০ জন চাঁদাবাজকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়, যার বিস্তারিত নিম্নরুপঃ
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁন্দগাও থানাধীন বহদ্দারহাট সিএনজি স্ট্যান্ড এবং সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে জোরপূর্বক অবৈধভাবে চাঁদা আদায় এবং বিভিন্ন চালকদের চাঁদার জন্য মারধর করে চাঁদা আদায় করে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১৪ মে ২০২৪ইং তারিখ বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ সলেমান (৪৫), পিতা-মোঃ কামালউদ্দিন, সাং- দক্ষিণ চর রমিজ, থানা-রামগতি, জেলা- লক্ষীপুর, ২। মোঃ আব্দুল্লাহ (২৭), পিতা-মাহবুব আলম, সাং-বাদুরতলা, থানা-পাঁচলাইশ, জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। মোঃ আবুল কালাম (৩০), পিতা-মোঃ নুরুল আফসার, সাং- বহদ্দারহাট, থানা-চান্দগাঁও, জেলা-চট্টগ্রাম ৪। মোঃ রুবেল (৩১), পিতা- মোঃ আলী, সাং- সমাসপুর, থানা- দাগনভ‚ইয়া, জেলা- ফেনী এবং ০৫। মোঃ মামুন (৩৪), পিতা- মৃত নুর মোহাম্মদ, সাং- রাউজান, থানা-রাউজান, জেলা- চট্টগ্রাম’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও দেহ তল্লাশী করে তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে বিভিন্ন গাড়ী হতে আদায়কৃত চাঁদার নগদ ৮১২০/- টাকা উদ্ধারসহ আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
অপর একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানাধীন বিবিরহাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর কতিপয় চাঁদাবাজ যাত্রীবাহী সিএনজি চালকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১৪ মে ২০২৪ইং তারিখ বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। বিমল বড়–য়া (৬৫), পিতা-মৃত সুবল চন্দ্র বড়–য়া, সাং-হাইদ চকিয়া পশ্চিম পাড়া, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম, ২। আব্দুল হালিম (৪০), পিতা-আব্দুল শুক্কুর, সাং-নারাইনহাট, থানা-ভুজপুর, জেলা-চট্টগ্রাম, ৩। মোঃ রাসেল (৩৮), পিতা-মোঃ আবুল হাসেম, সাং-ধুরুং থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম, ৪। আব্দুল গনি (৩৫), পিতা-মৃত নুরুল ইসলাম, সাং-ধুরুং, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ৫। মোঃ শাহজাহান (৪৩), পিতা-আহামদ হোসেন, সাং-হাইদচকিয়া, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও দেহ তল্লাশী করে তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে বিভিন্ন গাড়ী হতে আদায়কৃত নগদ ১৮৭৬০/- উদ্ধারসহ আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
৪।ধৃত আসামিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ চট্টগ্রাম মহানগরী চাদঁগাও এবং চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানা এলাকায় বিভিন্ন পরিবহন চালকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক অবৈধভাবে নামে বেনামে ভূয়া রশিদ অথবা কখনো কৌশলে বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিপুল পরিমান অর্থ চাঁদাবাজি করে আসছিল।
৫।গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর চাঁদগাও এবং চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।