১।বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি পিকআপ যোগে মাদকদ্রব্য বহন করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রাম এর দিকে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১০ মে ২০২৪ ইং আনুমানিক ২০৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খান সিটি সেন্টার এলাকার পাকা রাস্তার উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি পিকআপের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা পিকআপটিকে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপটি না থামিয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামি ১। মোঃ তুহিন (৩৮), পিতা-মৃত নুরউদ্দিন, সাং-মুনসুরাবাদ, থানা-আকবর শাহ, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ সোহেল (২৮), পিতা-মোঃ সিরাজ, সাং-নীলকমল, থানা-দুলারহাট, জেলা- ভোলা’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের দেখানো ও সনাক্তমতে পিকআপের পিছনে মালামাল বহন করার জায়গায় বিশেষ কৌশলে রক্ষিত দুইটি প্লাাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে ৩০ কেজি গাঁজা এবং ৯৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার এবং মাদক পরিবহনের ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়।
৩।আটককৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য (গাঁজা, ফেন্সিডিল) কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
৪।গ্রেফতারকৃত আসামি ও জব্দকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।