মানব সময় ডেস্ক :
১।বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্র্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২।এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ০৮২৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানাধীন পশ্চিম খুরসীয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামি ১। মোঃ রোকন (৪১), পিতা-মৃত আবুল কাশেম, সাং-পশ্চিম খুরসীয়া চীপছড়ি, থানা-দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ সিরাজুল হক (৩২), পিতা-মৃত আমীর হোসেন, সাং-উত্তর নয়াপাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারদের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে জিজ্ঞাসাবাদে আসাসিদ্বয় উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করতঃ তাদের হেফাজতে দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র তৈরীর সরঞ্জামাদি রয়েছে বলে স্বীকার করে। অতঃপর তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রান্নাঘর থেকে তাদের নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে দেশীয় তৈরী ০২টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরীর বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি উদ্ধারসহ আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
৩।আটককৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা পরস্পর যোগসাজসে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে অপরাধ সংঘটনের জন্য দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি, আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রয়সহ নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে আসছিল।
৪।গ্রেফতারকৃত আসামি ও উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র এবং জব্দকৃত সরঞ্জামাদি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।