মানব সময় ডেস্ক :
প্রায় দেড় কেজি আইস(ক্রিস্টাল মেথ)সহ কুখ্যাত মাদক সম্রাট মীর কাশেম (৪৩)’কে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন চৌধুরীপাড়া এলাকা হতে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
.
১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একজন মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপির চৌধুরীপাড়া এলাকার একটি টিনশেড বসতঘরের ভিতরে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আইস (ক্রিস্টাল মেথ) নামক একটি বড় চালানসহ অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২৩ আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে বর্ণিত ঘটনাস্থলের বসত ঘরের সম্মুখে পৌঁছামাত্র র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে একজন ব্যক্তি উক্ত বসতঘর হতে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা আসামী মীর কাশেম(৪৩), পিতা-মৃত. আলী হোছন, সাং-চৌধুরীপাড়া, (মীর কাশেম এর বাড়ী), থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং নিজ মুখে স্বাকীর করে যে, তার বসতঘরের কাঠের আলমারির উপরে একটি শপিং ব্যাগের মধ্যে মাদকদ্রব্য আইস (ক্রিস্টাল মেথ) নামক মাদক আছে। তখন স্বাক্ষীদের সামনে ধৃত আসামী নিজ হাতে বের করে দেয়া মতে উক্ত কাঠের আলমারি থেকে একটি শপিং ব্যাগে রক্ষিত অবস্থায় সর্বমোট ১ কেজি ৪০০ গ্রাম উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে উল্লেখিত জব্দকৃত মাদকদ্রব্য আইস (ক্রিস্টাল মেথ) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাজতে রেখেছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।