মানব সময় ডেস্ক :
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বিশেষ গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন লম্বাঘোনা বাজার এলাকার পাঁকা রাস্তার উপর কতিপয় অস্ত্রধারী মাদক কারবারি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ০৬ জুলাই ২০২৩ তারিখ র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী আরিফ উল্লাহ (২৮), পিতা-মোঃ নুরুল হক, সাং-সিপাহির পাড়া, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজার’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে উপরোক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তার হাতে থাকা ব্যাগের ভিতর থেকে নিজ হাতে বের করে দেয়ামতে ০২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ০২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত আগ্নেয়াস্ত্র হেফাজতে রাখার বিষয়ে বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্র¿ দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। এছাড়াও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে জব্দকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করত মর্মে জানায়।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত আলামত সক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।