হোসেন বাবলা: ১৩মে, চট্রগ্রাম ||
নগরীর দক্ষিণ হালিশহর আনন্দবাজার বেড়ীবাঁধ আকমল আলী রোড সমূদ্র সৈকত উপকূলীয় ( ৩৯নং) ওয়ার্ড এলাকা সহ ইপিজেড- বন্দর,পতেংগা নিচু এলাকার লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতেই প্রশাসনের নিরন্তর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উত্তাল বংগোপসাগর এর উপকূলীয় অঞ্চলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ০৮ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে আজ বিকেলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্তদের আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে এবং আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে অবস্থান বলা হলেও কাউকে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতে দেখা যায় নি, তবে এই উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত বহুতল ভবনে জেলে পরিবার ও অন্যান্য অসহায় মানুষের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে দেখা গেছে।
স্থানীয় জেলে পরিবারের সদস্য বিমল দাশ জানান, আমরা ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিচু এলাকা থেকে আশ্রয়ে চলে গেল ও আমাদের লাখ লাখ টাকার সম্পদ অনেকটা অনিরাপদ ও ঝুঁকিতে রয়েছে।
শেষ বিকেলে ফায়ার সার্ভিস,রেড ক্রিসেন্ট টিম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির দূর্যোগ উপ-কমিটির সদস্যরা এবং পুলিশ -আনসার বাহিনীর সদস্যরা সামাজিক সংগঠকদের নিয়ে মাঠে নেমেছেন।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে যে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগরের পানি ৫/৬ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।এটি ক্রমশ আরো গতিশীল হয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের কাছ দিয়ে বয়ে যেতে পারে।এর প্রভাবে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থেকে টিপ টিপ বৃষ্টি সহ মাঝে মাঝে জড়ো হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা চট্রগ্রাম সহ কক্সবাজার,পায়রা মহেশখালী এবং পাশ্ববর্তী ভারত ও বার্মার উপকূলে আঘাত আনতে পারে কাল সকালের দিকে।