বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
তজুমদ্দিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সদের পদায়নের এক দফা দাবিতে চার ঘণ্টার কর্মবিরতি শারদীয় দুর্গাপূজা সুুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করা হবে -বললেন ফরিদা খানম, জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম : মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো কেয়া মণি’র লেখা “অভ্যস্ত পাথর” কবিতাটি অপরাজনীতি বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে ছাত্রদল প্রস্তুত রয়েছে – মতবিনিময় সভায় সাইফুল আলম মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো রীতা জেসমিন এর লেখা “গোধূলি’ তজুমদ্দিনে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন: বেনাপোল যানজট নিরসনে পোর্ট থানার নবাগত ওসি ও সার্জেন্টের ঝটিকা অভিযান রামপুর ওয়ার্ড বিএনপি উদ্যোগে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বে -শপিং সেন্টার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার চট্টগ্রাম এর অভিযান ও জরিমানা :

ডিসি অফিসে নিয়োগ জালিয়াতিতে ফেঁসে যাচ্ছেন পিয়ন ফিরোজ | manob somoy

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩, ৪.৩০ এএম
  • ১৬৭ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
মিথ্যা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এমএলএসএস (পিয়ন) পদে চাকরি করছেন মো. ফিরোজ নামের এক কর্মচারি। ভোলা জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও ভূয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে তিনি এ পদে চাকরি নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক আইনজীবী। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরে আসলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

অ্যাড. নুরে আলম নোমান সালমান লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে এমএলএসএস পদে লোক নিয়োগের বিজপ্তি দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র ঢাকা জেলার বাসিন্দাদের কাছ থেকে এ পদে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। অথচ মো. ফিরোজ ভিন্ন জেলা ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। তার পিতার নাম মো. ইউছুপ, মায়ের নাম ময়ফুল। স্থায়ী ঠিকানা গ্রাম আমিনাবাদ, ওয়ার্ড নং ৫, ডাকঘর আমিনাবাদ, উপজেলা চরফ্যাসন, জেলা ভোলা। শুধু তা-ই নয় তার বাপ-দাদার স্থায়ী ঠিকানাও ভোলা জেলায়।

ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনে ফিরোজ ভোলা জেলার বাসিন্দা হওয়ার কারণে প্রথমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দেয়নি। পরে তিনি ঢাকার জনৈক অহিদউল্লাহকে ভূয়া মামা পরিচয় দিয়ে ও তার পালক সন্তান দেখিয়ে আবার কাগজপত্র জমা দেন। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরিতে নিয়োগ লাভ করেন।
এ পদের চাকরিতে দীর্ঘ অর্ধযুগ ধরে বহাল তবিয়তে থাকাকালীন তার নানা পরিবর্তন লক্ষ্যনীয় হয়ে ওঠে। সামান্য এমএলএসএস পদে চাকরিতে তার বেতনের আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়া যায় না। কোটি টাকা ব্যায়ে জমি ক্রয় ও ইমারত নির্মাণ নিয়ে তাই নানা প্রশ্ন ওঠে। ইতোমধ্যে তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জে ৫ কাঠা জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণসহ চরফ্যাসন পৌর এলাকায় উচ্চমূল্যে ৬ কাঠা দামী জমি কিনে ইমারত নির্মান করেছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।

মো. ফিরোজ দাখিল ও আলীম পাশ করেন চরফ্যাসন আমিনাবাদের মাদ্রাসা থেকে। ফিরোজের অন্য সব ভাইবোন স্থায়ীভাবে ভোলার চরফ্যাসনের আমিনাবাদ গ্রামে বসবাস করেন। ফিরোজের নামে চরফ্যাসন উপজেলার ৫ নং আমিনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নাগরিক সনদের কপিও রয়েছে। উপরোক্ত তথ্যদিতে প্রমাণিত হয় যে, ফিরোজ ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার আমিনাবাদ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। ফিরোজ তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এলাকাবাসীর কাছে ‘ম্যাজিস্ট্রেট’ হিসাবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন। তার এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড ও মিথ্যা-জালজালিয়াতির তথ্য দিয়ে চাকরিতে বহাল থাকায় রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগে তুলে ধরা হয়েছে। যা ফৌজদারি অপরাধের শামিল বলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ অভিযোগটি আমার নজরে আসেনি। তিনি খবরটি প্রকাশ করার কথা জানান। অভিযোগপত্রটি তার অফিসিয়াল ইমেইলে দেয়ার কথাও বলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com