বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেরা জুটির তালিকা যদি তৈরি করা হয় তাহলে সেখানে নিঃসন্দেহে স্থান করে নেবেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একসঙ্গে বহু আইকনিক সিনেমায় কাজ করেছেন তাঁরা। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা আছে মানেই সেই সিনেমা হিট- এমন ধারণা কাজ করতো সিংহভাগ দর্শকের মনে। তবে এখন আর আগের মতো একসঙ্গে দেখা যায় না প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাকে।
অনেক সিনেপ্রেমী মানুষই বলেন, উত্তম কুমার-সুচিত্রা সেন পরবর্তী সময়ে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সেরা জুটির শিরোপা ছিল প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার দখলেই। একটা সময়ে পরপর বহু সিনেমায় কাজ করেছেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎই ভেঙে যায় সেই সুপারহিট জুটি। বহু বছর পর ফের ‘প্রাক্তন’ সিনেমায় দেখা যায় তাঁদের। এরপর আরও একটি ছবি একসঙ্গে করেন তাঁরা। তারপর ফের গায়েব!
প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার পর বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আরও অনেক জনপ্রিয় জুটি এসেছে। কিন্তু তাঁদের মতো ভালোবাসা কেউই পায়নি। কেন এত বছর পরেও দ্বিতীয় প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা পেল না টলিউড? একবার এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই প্রশ্ন তোলেন নায়িকা। সেই সঙ্গেই জানতে চান, তাহলে কি এখন কোথাও খামতি থাকছে? জবাবও নিজেই দেন ঋতুপর্ণা।
টলি সুন্দরী বলেন, কোথাও যেন আন্তরিকতার অভাব থেকে যাচ্ছে। হৃদয়টা থাকছে না। লুকোছাপা না করেই অভিনেত্রী বলেছিলেন, অনেক পরিশ্রম, মানুষের ভালোবাসার ফলশ্রুতি এই জুটি। দর্শকরা তাঁদের দেখার জন্য সিনেমাহল ভরিয়ে দিতেন। আবার তাঁদের দেখে কেঁদেছেনও। ঋতুপর্ণার কথায়, এটা রাতারাতি হয় না। কাজের প্রতি ১০০% দায়বদ্ধতা থাকা জরুরি।
দর্শকদের কাছে থেকে অগাধ ভালোবাসা পেয়েছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি। তাই এই জুটি ভেঙে যাওয়ার পর অভিনেত্রীর মনে কি শূন্যতা নেমে এসেছিল? জবাবে তিনি সাফ বলেন, বুম্বাদার সঙ্গে জুটি ভাঙলেও তিনি একেবারেই শূন্যতায় ডুবে যাননি। কারণ সেই সময় বেশ কিছু ভিন্ন স্বাদের সিনেমা করা শুরু করেছিলেন তিনি। নায়িকা হিসেবে অন্য রূপে দর্শকদের সামনে ধরা দেন ঋতুপর্ণা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নায়িকা হিসেবে একসময় টলিউডে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করলেও এখন বেশ বেছে বেছে সিনেমা করেন ঋতুপর্ণা। শীঘ্রই সাসপেন্স থ্রিলার ‘শিকার’এ দেখা যাবে টলি সুন্দরীকে। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘স্পর্শ’ও রয়েছে তাঁর হাতে।