পরীমণি লেখেন, ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে বাচ্চা নেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনোই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা, তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন শতকোটিবার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নিই, এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সুত্র হয়ে দাঁড়াল।’
শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করে পরীমণি লেখেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলার পর্যায়ে পৌঁছালে কোনো সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকে না। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বারবার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্য পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না। একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যই আলাদা হয়ে গেলাম।’
সন্তান রাজ্যের স্বার্থে সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার বিষয়ে পরীমণি বলেন, ‘রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তন’ই না, আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সম্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি। তবে আমার ওপর তার আর তার পরিবারের কোনো অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো। সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী যাঁরা রয়েছেন, আপনারা নিশ্চই আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারবেন আশা করছি। আমাকে একটু সময় দিন। শারীরিকভাবেও আমি বিধ্বস্ত। রাজ্য তার বাবা-মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারল না, এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে আমার কাছে!’
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে পরীমণি ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, ‘হ্যাপি থার্টি ফার্স্ট এভরিওয়ান! আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে।’
এরপরই শুরু হয় রাজ-পরীমণির সংসার ভাঙা নিয়ে শোরগোল। আজ নতুন করে বিছানা ও বালিশে রক্তমাখা ছবি প্রকাশ করে চলমান ঘটনায় নতুন বাঁক আনলেন পরীমণি।
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া দেননি শরিফুল রাজ। তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত নভেম্বরে রাজকে নিয়ে পরীমণি ও চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিমের কথার লড়াই চলে। শেষ পর্যন্ত মিমও রাজের সঙ্গে আর পর্দা ভাগ করবেন না বলে ঘোষণা দেন।
গত বছরের ২২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাজ ও পরীমণি। তবে জানুয়ারিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করলেও পরীমণি-রাজ ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা দেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি।