ডেস্ক নিউজ :
র্যাব-৭, চট্টগ্রামের অভিযানে ফেনী হতে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক কারবারীকে আটক; মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ০১ টি প্রাইভেটকার জব্দ।
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবরুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি প্রাইভেটকার যোগে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করে বিক্রির উদ্দেশ্যে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৮ ডিসেম্বর ২০২২খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ১৫০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানা এলাকার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্য প্রাইভেটকারটিকে থামানোর সংকেত দিলে প্রাইভেটকারটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা গাড়ীসহ আসামী ১। মাকসুদ আহমেদ (৪১), পিতা- মৃত আব্দুল কাদির, সাং- তুতিগঙ্গা, থানা- লাকসাম, জেলা- কুমিল্লা, ২। মোঃ জামাল হোসেন (২৪), পিতা- মৃত মজিবুল হক, সাং- উল্লাশ্বর, থানা-শাহরাস্তি, জেলা- চাঁদপুর’দের আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের হেফাজতে থাকা উক্ত প্রাইভেটকারের পিছনের সীটের পা রাখার স্থান হতে ০৪ টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে মোট ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামীদ্বয়’কে গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
৩। আটককৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজসে ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে পরবর্তীতে চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৮ লক্ষ টাকা।
০৪। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।