ডেস্ক বার্তা :
ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ০৪টি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ জাবেদ @জাবেদ ডাকাত’কে চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট এলাকা হতে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। কিছুদিন যাবৎ র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বরাবর অভিযোগ আসে যে, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড ও মীরসরাই থানার আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম ও ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন কায়দায় ডাকতি সংঘটিত হচ্ছে। যার ফলে উক্ত থানা এলাকার মানুষজন এবং বিভিন্ন গাড়ির যাত্রীসহ গাড়ির চালকগন বিভিন্নপন্থায় অর্থিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং আতংকের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। আবার এসব ডাকাতির ফলে অনেকের জীবনও চলে যাচ্ছে। ধারনা করা হচ্ছে শীতকালে এ ডাকাতির প্রবনতা আরও বেড়ে যাবে। এসব চিহ্নিত ডাকাতদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম একজন হচ্ছে সীতাকুন্ড থানাধীন বাড়বকুন্ড এলাকার মোঃ জাবেদ@জাবেদ ডাকাত; যে চুরি, ডাকাতি এবং বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে উক্ত এলাকাটি ত্রাসে পরিণত করেছে। এছাড়া উক্ত ব্যক্তির নামে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় ০৩টি এবং মীরসরাই থানায় ০১ টি ডাকাতির মামলাও রয়েছে বলে জানা যায়।
৩। এরুপ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গত ১৪ অক্টোবর ২০২২খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ২২৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন পূর্ব মাদারবাড়ি সাহেবপাড়া বাজার এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে চুরি, ডাকাতি এবং ডাকাতির প্রস্তুতির মামলার গ্রেফতারী ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ জাবেদ @জাবেদ ডাকাত, পিতা-মোঃ বাবুল মিয়া, সাং-বাড়বকুন্ড, থানা-সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উপরে উল্লেখিত সকল অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার করে এবং বতর্মানে সে ডাকাতির মামলায় গ্রেফতারী ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, সে ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নানা স্থানে বিভিন্ন অভিনব পন্থায় ডাকাতি করেই গা ঢাকা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে চলে আসতো এবং শহরে কোন এলাকায় দুই মাসের বেশী অবস্থান করতো না। সংঘটিত ডাকাতি কার্যক্রমে সে নের্তৃত্ব দিতো।
৪। উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ডাকাতির প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় ০৩টি এবং মীরসরাই থানায় ০১টি মামলা পাওয়া যায়।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।