ডেস্ক নিউজ :
১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি পিকআপ যোগে মাদকদ্রব্য বহন করে কুমিল্লা হতে চট্টগ্রামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২খ্রিঃ তারিখ রাত আনুমানিক ২১০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল ফেনী জেলার ফেনী মডেল থানাধীন একটি ফিলিং ষ্টেশনের সামনে ঢাকা টু চট্টগ্রামগামী মহাসড়কের পাঁকা রাস্তার উপর অস্থায়ী একটি চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় র্যাবের চেকপোস্টের দিকে আসা একটি পিকাআপের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা পিকআপটিকে থামানোর সংকেত দিলে পিকআপটি না থামিয়ে দ্রæত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা গাড়ীসহ আসামী ১। মোঃ রাশেদ (১৯), পিতা-আবুল বাশার, সাং- বিপুল আসাদ, থানা- মনোহরগঞ্জ, ২। মোঃ রনি (১৯), পিতা- খোকন মিয়া, সাং- ওলন এবং ৩। মোঃ হাসান (১৯), পিতা- মনির হোসেন, সাং-সানবাড়িয়া (মধ্যপাড়া), উভয় থানা- সদর দক্ষিন, সর্ব জেলা- কুমিল্লাদের’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের দেখানো ও সনাক্তমতে উক্ত পিকআপের পিছনের মালামাল বহনের জায়গায় কৌশলে লুকানো অবস্থায় ০১টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামীদের’কে গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত পিকআপটি কাগজপত্র বিহীন জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ০৪ লক্ষ টাকা।
৩। আটককৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তাঁরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ সুকৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাড়ী যোগে বহন করে পরবর্তীতে ফেনী, চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে ফেনী জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।