মুঃবাবুল হোসেন বাবলা::০৭ফেব্রুয়ারী,চট্টগ্রাম
গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে প্রস্তাবিত রেলওয়ে কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের জায়গা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, চট্টগ্রামের মন্ত্রী এমপি ও নেতারা যদি সিআরবিতে হাসপাতাল না চান তাহলে তো প্রধানমন্ত্রী চাইবেন না, রেল মন্ত্রণালয়ও সেটার বিরুদ্ধে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ।
তিনি আরো বলেন,চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতা-সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও নানান শ্রেণীপেশার মানুষের দাবি বঙ্গমাতার নামে হাসপাতাল না করে উদ্যান করা হোক- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে যেহেতু পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) চুক্তির আওতায় হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেহেতু রেলওয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এই বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিবেন, সেটাই হবে।মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের যখনই মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয় তখনই পাল্টাপাল্টি অভিযোগগুলো আমাদের কাছে এসেছে। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, কালুরঘাট রেল সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশার কাজ চলছে। বর্তমানে সেতুর উচ্চতা ৪.৬ মিটার। নৌ-যান চলাচলের জন্য এটি ১২ দশমিক ২ মিটার উচ্চতায় নির্মাণ করতে হবে। এই ব্যাপারেব কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি কখন দেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বেশিরভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকছে। ট্রেন চালানো যাচ্ছে না। অর্ধেক আসনে যাত্রী ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে একমাত্র ট্রেনই চলাচল করছে। আর কোনও পরিবহন খাত এটি মানছে না। আমি চেষ্টা করছি দ্রুত ওই রুটে নতুন ট্রেন দেওয়ার। আমিও ছাত্রনেতা ছিলাম, তাই ছাত্রদের প্রতি ভালোবাসা টান আমার বেশি।
রেলমন্ত্রী পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে প্রস্তাবিত কল্যাণ ট্রাস্টের জায়গা ঘুরে নতুন রেলওয়ে স্টেশনের অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন। এসময় তিনিদায়িত্বে অবহেলায় পূর্বাঞ্চলের জিএম জাহাঙ্গীর হোসনকে-বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শামস মো. তুষার ও স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি সিআরবির কনফারেন্স কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আজকে যাদের বহিষ্কার করেছি তাঁরা যেন চেয়ারে না বসেন।এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, ডিজি ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের জিএম জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রধান প্রকৌশল মো. মো. সুবক্তগীন।