হাবিবুর রহমান,চিলমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কাঁটছে মাসের পর মাস, পেড়িয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর, তবুও যেন কমছে না রাস্তার দুর্ভোগ। দিন যাচ্ছে সৃষ্টি হচ্ছে শতশত গর্ত ও ভাঙ্গার বেড়ে যাচ্ছে ভোগান্তি। চিলমারী উপজেলার থানাহাট সদরের প্রধান সড়কে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, পরিনত হয়েছে মৃত্যুর ফাঁদে। হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগের চরমে। প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে যানবাহন চলাচল।গর্তে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এর পরেও নজর নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের। খেয়াল নেই স্থানীয় প্রশাসনের। যেন ঘুমিয়ে আছেন জনপ্রনিধিরা। জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদর থানাহাট বাজারের প্রধান সড়ক এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিনত। থানাহাট বাজার থেকে চিলমারী সরকারী ডিগ্রী কলেজ মোড় পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিঃমিঃ এই সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে শতশত গর্ত। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো সড়কে কাদা ও পানিতে একাকার হয়ে যায়। পরিনত হয় ছোট নালায়। এছাড়াও বেশকিছু বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ চলাচলের অনুপোযোগী হওয়া এই সড়কে বাড়ছে দুর্ভোগ, হচ্ছে ভোগান্তি। শহরের প্রধান এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচল। প্রতিদিন কষ্ট আর ভোগান্তি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। খোঁজ নিয়ে যানা গেছে দুর্ভোগের এই সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিনে থাকলেও বছরের পর বছর পেড়িয়ে যাচ্ছে তবুও নজর পড়ছেনা বিভাগটির। জনগনের দুর্ভোগ চরমে উঠলেও খেয়াল নেই স্থানীয় প্রশাসনের। সকড়টি মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হলেও জনপ্রতিনিধিরাও যেন রয়েছে ঘুমিয়ে। কলেজ মোড় এলাকার আসিফ ক্ষোভের সাথে বলেন, বছরের পর বছর যাচ্ছে রাস্তাটি চলাচলের অনুপোযোগী হলেও কোন নজর নেই কারো। সড়ক এলাকার ব্যবসায়ী আলহাজ্ব হোসেন আলী, আজাদুল, আঃ মতিনসহ অনেকে বলেন, এই সড়কটি একটি গুরুত্ব পূর্ন সড়ক, শতশত যানবাহন ও হাজারো মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। তারা আরো জানান, সড়কটি বেহালে পরিনত হওয়ায় মালামাল আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়াও গাড়ি আসতে চাচ্ছেনা। সহ-অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, গুরত্বপূর্ন এই সড়কটি বেশ কিছু স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের প্রধান সড়ক। তিনি আরো জানান, দ্রুত এই সড়কের মেরামত করা না হলে চলাচল বন্ধ হয়ে পড়বে, জনসাধারন পড়বে বিপাকে। এলাকার শহিদুল, চুমকিসহ অনেকে বলেন, এই সড়কের কথা শুনলে অটো, রিস্কা চালকরা আসতে চায়না, তাই অনেক সময় হেটেই চলতে হয়। অটো চালক বাবু, আমজাদ বলেন, সড়কে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, এছাড়া বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকায় চলাচল করা ঝুঁকি, গাড়ি যায় উল্টে। কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জনসাধারনের দুর্ভোগ দুর করতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কুড়িগ্রাম মোঃ জহিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।