র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।গত ২৭/০৬/২০২১ ইং তারিখ কতিপয় অপহরণকারী ভিকটিম কে অপরহরণ করে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় গত ১৫/০৭/২০২১ ইং তারিখ চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়; যার মামলা নং- ১৮, তারিখ-১৫/০৭/২০২১ইং, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত/২০০৩) এর ৭/৩০। উক্ত ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এরই প্রেক্ষিতে, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায়, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা চট্টগ্রাম মহানগরীরর কর্ণফুলী থানাধীন খইদ্দারটেক এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০১ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখ ০৮৩০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী ১। সরোয়ার আলম (৪০), পিতা- মৃত ওসমান গনি, সাং- গন্ডামারা, পশ্চিম বড়ঘোনা, ০৫নং ওয়ার্ড, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ শহিদুল্লাহ (৩৭), পিতা- মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সাং- গন্ডামারা, পশ্চিম বড়ঘোনা ইউপি, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রামদের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ঘটনা স্থল হতে ভিকটিম কে উদ্ধার করে। আটককৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত অপহরণের সত্যতা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।