দীর্ঘদিন পর সেই একই নির্মাতা, সামির আহমেদের নির্দেশনায় অভিনয় করলেন। কেমন হলো? ‘সামির ভাই তো গুণী নির্মাতা। তাঁর সঙ্গে কাজ মানে বরাবরই নতুন কিছুর স্বাদ। প্রথম কাজের সময় আমি শুটিংয়ে কত কিছুই বুঝতাম না। এখন অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক কিছুই ওভাবে ধরিয়ে ধরিয়ে বোঝাতে হয় না। আর এই সিরিজটাও বেশ ইন্টারেস্টিং। সিরিজের বিষয়বস্তু তিন ধরনের বউকে ঘিরে। তিন পর্বে তিন পেশার তিন বউকে দেখানো হয়েছে। যারা আলাদা আলাদা সামাজিক অবস্থানে থাকলেও সবাই একই ধরনের এক অদৃশ্য নিয়ম ও প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে যায়। সিরিজের আইডিয়াটা নির্মাতা নুরুল আলম আতিকের। সেই ভাবনার ওপরে গল্পগুলো লিখেছেন মাতিয়া বানু শুকু। সিরিজের ‘টু–লেট’ পর্বে অভিনয় করেছি আমি।’
এই ঈদে স্পর্শিয়ার আরেকটি কাজ হলো নবীনদের বানানো ‘৭ দুগুণে ১৪’ ব্যানারে ১৪টা শর্টফিল্মের একটি। মানব মিত্রের পরিচালনায় ‘ভূগোল’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাগুলোর নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন মনোজ কুমার।
সেই নিত্যনতুন নাটকের খবর এখন আর দেন না স্পর্শিয়া। গত পাঁচ বছর টেলিভিশনকে এক অর্থে বিদায় জানিয়েছেন। তবে গেল ঈদে দেখা গেল বিটিভির ‘আনন্দমেলা’র উপস্থাপনা করতে। এবারই প্রথম উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা হলো স্পর্শিয়ার। মডেলিং আর টিভি নাটকে অভিনয়ের ক্যারিয়ার দশ বছরের হলেও, সিনেমায় সবে শুরু। বড় পর্দায় স্পর্শিয়ার যাত্রা শুরু হয় ‘আবার বসন্ত’ দিয়ে। এরপর মুক্তি পায় ‘কাঠবিড়ালি’। দুটি ছবিতেই স্পর্শিয়ার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। স্পর্শিয়ার তৃতীয় ছবি ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। তাঁর ‘বন্ধন’ ও ‘ফিরে দেখা’ সিনেমা দুটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এ বছর আরও দুটি সিনেমায় অভিনয় করার কথা চূড়ান্ত। তবে শুরুর আগে নাম বলতে চাইলেন না।