সাহিত্য পাতা :
বহুকালের স্বপ্ন
একদিন হাঁটব পদ্মার উপর,
রেলগাড়িতে বসে
বা কোন স্থল যানের উপর।
বহুদিনের স্বপ্ন দক্ষিণাঞ্চলের
সবুজ -শ্যামল বাংলা মায়ের।
পদ্মার উপর দিয়ে হেঁটে আসা
দেখবে স্বপ্ন বাবার।
দক্ষিণাঞ্চলের সাথে
পশ্চিমাঞ্চলের হবে মহামিলন,
খরস্রোতা নদী পদ্মার
বুকে সেতু স্থাপন
বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড়
এ সেতু চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ।
অবশেষে দেশরত্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
করেন আয়োজন,
বহু অর্থের অনেক শ্রমের
ছিল প্রয়োজন।
নিরলস প্রচেষ্টায় পদ্মাসেতু
উড়ল পাখির মতন,
২৫ জুন সেই শুভক্ষণ
পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন।
দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিটে
নির্মিত ট্রাস সেতুটির উপরের
স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক,
নিচে থাকবে একটি সুরম্য রেলপথ।
পদ্মা- ব্রহ্মপুত্র – মেঘনার অববাহিকায়,
১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ৪১টি স্প্যান বসায়
যা ৬.১৫০কিলোমিটার দৈর্ঘ্য
১৮. ১০ মিটার প্রস্থ প্রায়।
বাংলার মানুষজন
দেখে জুড়াবে দু’নয়ন,
সেতুবন্ধনে হবে দেশের উন্নয়ন।
বাংলার পদ্মা নদীর উপর
এ যেন এক টুকরো প্রাণ,
বিশ্বের কাছে বাড়ালো সম্মান।