মিলি সিকদারঃভোলা জেলার দৌলতখাঁন উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের লেজপাতা গ্রামের
১নং ওয়ার্ডের ৩০০ শত পরিবারের বসবাস। যাতায়াতের জন্য একটি মাত্র রাস্তা , অথচ স্বল্প বৃষ্টিতেই এই রাস্তাটি কাঁদায় ভরে যায়। বর্ষা হলে সে সময় এই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল করা যায় না তাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় এলাকা বাসীর , বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়।
এলাকাবাসী এই কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার দাবি করছে অনেক আগের থেকে। কিন্তু এই রাস্তা পাকাকরণের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
হারুন রশিদ জানান, কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। রাস্তাটি পাকাকরণ বা ইট বিছানো তো দূরের কথা ন্যূনতম সংস্কারও করা হয় না। অথচ প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে শত শত মানুষ চলাচল করে। প্রয়োজনীয় কাজে বাজারে যেতে হলে কাঁদা মেখে পায়ে হেঁটে যেতে হয়। ঐ গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস।
স্থানীয় তামিম বলেন, আমাদের রাস্তার সমস্যার কারণে ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে সমস্যা হচ্ছে এবং আমাদের যাতায়াত করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে, আমরা এমপি মহাদয়ের কাছে অনুরোধ করছি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য।
রাকিব পন্ডিত বলেন, এই রাস্তাটি আমাদের একমাত্র সম্বল কিন্তু সমস্যার কারণে আমাদের বিভিন্ন জরুরী প্রয়োজনে কাজে
বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে ।
বর্ষা মৌসুমে মোটরসাইকেল, রিক্সা নিয়ে চলাচল করা একেবারে অসম্ভব।
অন্যদিকে রাস্তা দিয়ে এলাকার কৃষকেরা
সঠিক সময়ে ঘরে উঠতি ফসল তুলতে পারছে না।রাস্তায় কাঁদা থাকায় তাদের ফসল আনা নেওয়া করতে বেশি পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করতে হয়। গ্রামের কবরস্থানে যাতায়াতের করতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। একটু বৃষ্টি হলেই এ রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই আর কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, এবার দ্রুত রাস্তাটির সংস্কার বাস্তবায়ন চান গ্রামবাসি।
লেজপাতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার মোঃ অজুত বলেন, রাস্তাটি অনেক দিনের পুরনো। বর্ষা এলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এই রাস্তার উন্নয়নের জন্য এডিপি প্রকল্পের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ বছরই কাজ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসনিক নানা জটিলতার কারণে কাজ করা সম্ভব হয়নি। আশা করছি আগামীতে অবশ্যই এই রাস্তার উন্নয়ন কাজ করা হবে।
উক্ত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: হেলাল বলেন, এই রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ । আমি এমপি মহোদয় কে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। এবং অতি দ্রুত সংস্কার করা দরকার।