শশীভুষণ (ভোলা) প্রতিনিধিঃ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধিনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের অনলাইনে চলছে ভোক্তা নিবন্ধন কার্যক্রম। উপজেলার ২১টি ইউনিয়নেই এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরজমিন ঘুরে দেখা যায় ১০ টাকা কেজি চালের সুবিধাভোগী ভোক্তাদের নিবন্ধনের জন্য ইউনিয়ন উদ্যোক্তা কার্যালয়ে সিরিয়াল দিয়ে দারিয়ে আছেন এই কর্মসূচির আওতায় কার্ডধারী ভোক্তারা। চরফ্যাসন উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা ১০ টাকা কেজি চালের সুবিধাভোগি তাসনুর বেগম বলেন,আমরা সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি ১০টাকা কেজিতে চাল পাই। এই চাল পাওয়ায় আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন উদ্যোক্তা কার্যালয়ে অনলাইনে ভোক্তা নিবন্ধন করতে এসেছি। সেবা পেয়ে আমি খুশি।
একই ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী রোকেয়া বেগম,হারুন মাতাব্বর,দুলাল মিয়া,ফজিলত বেগম মাজেদ মিয়া ও জাফর তালুকদার বলেন,অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে আমাদের ইউনিয়নে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল আমরা খুব সহযেই পাই। এখানে কোনোরকম হয়রানি হয়না। ১০টাকা কেজির খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার আমাদের ঝামেলা বিহীনভাবে সিরিয়াল ছাড়াই আমাদের হাতে চালের বস্তা তুলে দেন। তারা আরও বলেন, বর্তমানে খাদ্যবান্ধব চালের ভোক্তা নিবন্ধন চলছে আমাদের ইউনিয়নের তথ্যসেবার উদ্যোক্তা নির্ভেজালে অনলাইনে ভোক্তা নিবন্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। ডিলার আজাদ হাওলাদার জানান,খাদ্য মন্ত্রনালয়ের আওতায় এই ইউনিয়নে ১হাজার ৫শ ৮২ জন কার্ডধারী রয়েছেন। তাদের সকলের ভোক্তা নিবন্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়নে ভোক্তাদের জানিয়ে দিয়েছেন এবং সকলের কার্ডের তথ্য নিয়েই সরকারের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছেন তিনি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম হাওলাদার বলেন, গ্রামের হতদরিদ্র অসহায় কার্ডধারী সুবিধাভোগিদের সঙ্গে কথা বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে তাদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভোক্তা নিবন্ধন চলছে। এবং সুবিধাভোগীদের হয়রানি না করে ভোক্তা নিবন্ধন সম্পন্ন করে দেয়ার জন্য ইউনিয়ন তথ্যসেবায় জানিয়ে দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল মতিন খান বলেন, উপজেলার সকল কার্ডধারীর নিবন্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়নে বলা হয়েছে। কোনোরকম হয়রানি বা টাকাপয়সা নেয়া যাবে না। কেউ যদি কোনো সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ভোক্তা নিবন্ধনের নামে হয়রানি করে অথবা টাকা পয়সা নেয় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।