মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শারদীয় দুর্গাপূজা সুুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করা হবে -বললেন ফরিদা খানম, জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম : মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো কেয়া মণি’র লেখা “অভ্যস্ত পাথর” কবিতাটি অপরাজনীতি বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে ছাত্রদল প্রস্তুত রয়েছে – মতবিনিময় সভায় সাইফুল আলম মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো রীতা জেসমিন এর লেখা “গোধূলি’ তজুমদ্দিনে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন: বেনাপোল যানজট নিরসনে পোর্ট থানার নবাগত ওসি ও সার্জেন্টের ঝটিকা অভিযান রামপুর ওয়ার্ড বিএনপি উদ্যোগে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বে -শপিং সেন্টার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার চট্টগ্রাম এর অভিযান ও জরিমানা : বেনাপোল পুলিশের অভিযানে আটক- ৫

অপূর্ণতার একটি ভালোবাসার গল্প // লাইফস্টাইল

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২, ১২.২৭ পিএম
  • ৪৯১ বার পঠিত
Male and female hands tearing a red heart symbol of love in half

লাইফস্টাইল ডেক্স

ভালোবাসা ভালো যদি সেটা হয় দুজনের মন থেকে সত্যিকারের ভালোবাসা। কিন্তু সত্যিকারের কিছু ভালোবাসা ফ্যামিলি ও পরিবারের কাছে হেরে যায়। তাহারি একটি গল্প!

এক ছেলে ২০১৬ থেকে চট্টগ্রামে আসা যাওয়া করতো, তার আসা যাওয়ার একমাত্র কারণ চট্টগ্রামে তার এক আত্মীয়র বাসা আর তাদের একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার আছে।

সেন্টার এবং আত্মীয়র বাসর জায়গাটা হলো চট্টগ্রাম ফ্রি পোট, ইপিজেড এলাকায়, ১৬ সালে যখন চট্টগ্রামে যাওয়া হয় তাদের কম্পিউটার সেন্টার থেকে কম্পিউটার শিখা হয় ছেলেটার। শিখার পর থেকেই প্রতিটা বছরের বেশিরভাগ সময়গুলো চট্টগ্রামে আসা যাওয়া করতো এবং তাদের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কম্পিউটার শেখাতো। এমন আসা যাওয়া করে ২০১৬ সাল থেকে চলে আসলো ২০২১ সাল আর এই ২০২১ সালেও প্রতিবারের মতো সে চট্টগ্রামে আছে ২১ সালের এপ্রিল মাসের ১ তারিখে বিকেলে একটা মেয়ে তাদের কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে আসে এবং কম্পিউটার অফিস ম্যানেজমেন্ট কোর্সে ফরম পূরণ করে ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু করে, ওর বাসাও ফ্রি পোট। প্রতিজন শিক্ষার্থীর মত য়েয়েটাও সাপ্তাহে ৩ দিন করে এসে ক্লাস করতো ক্লাস ঠিকমতো করলেও কম্পিউটারের অপশন গুলো ভালো বুঝতে পারতো না, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মত।

এভাবে করে রমজান মাস চলে আসলো এর মেয়েটাকে ছেলেটার আস্তে আস্তে ভালো লাগা কাজ করলো, কিন্তু ও কম্পিউটার অফিস ম্যানেজমেন্টের এক নাম্বার শিটটিও এখনো শেষ করতে পারলো না। তো ছেলেটির যে ওরে ভালো লাগলো এই কথাটি ওরে তখন বলেনি আরো কিছু দিন পরে বলবে বলে। তাদের সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ আছে মেয়েটাকে সেই গ্রুপে এড দিয়েছে এবং ওর সাথেও ছেলেটা ফেসবুকে ফ্রেন্ড হযয়েছে! এভাবে করে ১০/১৫ রমজান চলে আসলো মেয়েটাকে এখনো ভালো লাগার কথাটি বলা হয়নি ছেলেটার আর মেয়েটাও রেগুলার ক্লাস করত না। হঠাৎ করে মেয়েটা সেন্টারে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে ২৫ রমজান এসে পড়েছে ছেলেটা বাড়িতে চলে আসবে কিন্তু মেয়েটাকে যে তার ভালোবাসার চোখে ভালো লাগলো এটা সে বলতে পারেনি, পরে কি করবো ভেবে পাচ্ছিলো না। মেয়েটা যখন ভর্তি হয়েছিলো ফরমের মধ্যে থেকে ওর নাম্বারটা নিয়ে কল দিচ্ছিলো কিন্তু ওর ফোন বন্ধ। তার পরের দিন ছেলেটা বাড়িতে চলে আসলো, মেয়েটার সাথে আর দেখা হলো না।

বাড়িতে এসে ছেলেটা সাংবাদিকতা কাজে নিয়োজিত হয়। এভাবে করে বাড়িতে এক মাস হয়ে গেল তার। পরে একদিন হঠাৎ করে ছেলেটার মামা কম্পিউটার সেন্টারে সেই মেয়েটাকে সহ একটা ছবি তার ফেসবুক স্টারিতে দেয়। ঐ ছবিটা দেখে মেয়েটার কথা আবারো মনে পরে গেলো ছেলেটার। কিন্তু কিছু করার ছিল না কারন মেয়েটার সাথে তো যোগাযোগ করার কোন মাধ্যম ছিলো না। হঠাৎ করে আবার এক মাস পরে দেখে মেয়েটা ফেসবুকে এক্টিভ সেখান থেকে ওরে মেসেজ দিয়ে ওর ফোন নাম্বারটা নিয়েছে ছেলেটা। তখন সময়টা ছিলো অক্টোবর ২০২১ আর মেয়েটাও তখন বাড়িতে চলে গিয়েছে। ফোন নাম্বারটা সেভ করলে মেয়েটার ইমো এড হয় পরে ইমো তে কথা হয় তাদের। আর তখনি মেয়েটাকে তার ভালো লাগা – ভালোবাসার কথাটা বলে আর বললে প্রথম রাজি হয়নি, খুব লজ্জা পেতো মেয়েটা। তার কারন? ছেলেটা তো মেয়েটার কম্পিউটার শিক্ষক ছিলো এখন আবার এগুলি কি বলে এটা ভেবে ও খুব লজ্জা পেতো। পরে অনেক কথার মধ্যমে মেয়েটাকে তার ভালোবাসায় রাজি করিয়েছে। এর পর থেকে তাদের সম্পর্কে চলতে থাকে। এভাবে এক মাস সম্পর্ক ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকলো। হঠাৎ করে ছেলেটা সাংবাদিকতার কাজে অনেকটা ব্যস্ত যায় আর মেয়েটার সাথে যোগাযোগ ধীরে ধীরে কমে যায়। এভাবে করে মেয়েটা ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা দেয়, মেয়েটা আর ছেলেটা সেম ইয়ারের। মেয়েটাও তখন পরিক্ষা দিয়েছিলো।

পরিক্ষা শেষ করে মেয়েটা চট্টগ্রামে চলে আসে, এসে ছেলেটাকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে তার ফেসবুক পেজে মেসেজ করে, পরে ছেলেটা ফোন করে করলে তাকে বলে মেয়েটাকে চট্টগ্রামে গিয়ে কম্পিউটার কোর্সটা ভালোভাবে শিখাতে, ছেলেটা না আসলে মেয়েটা কম্পিউটার শিখবে না। এভাবে করে ফোন এবং ফেসবুক মেসেজ করে খুব তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য, আর সে যাইলে মেয়েটা ছেলেটাকে নুডুলস রান্না করে খাওয়াবে আর নুডুলস ছেলেটার পছন্দের খাবার ছিল এটা মেয়েটা জানত, এবং ছেলেটাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে আরো আবেগীয় অনেক কথা মেয়েটার। সর্বোপরি মেয়েটার আবেগের কথায় ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখে সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে ছেলেটা চলে আসে।

এসে ১১ তারিখে সন্ধ্যায় ৭ টায় মেয়েটার সাথে দেখা করে সাথে মেয়েটার বাগিনা ফাহিম ছিলো। আর তার পরের দিন ঢাকাতে পত্রিকার অফিসে ছেলেটার একটু ইমার্জেন্সি কাজে সেই তারিখের রাত ১০ টায় ট্রেনে সে ঢাকায় চলে আসে এসে অফিসের কাজটা শেষ করে ১২ তারিখ রাত ১০ টার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আবার ট্রেনে চলে আসে, এর মধ্যে মেয়েটার সাথে ছেলেটার ফোনে যোগাযোগ হইতেছে। ১৩ তারিখ সকাল ৯ টায় ছেলেটা চট্টগ্রাম বাসায় আসে। পরে সন্ধ্যা ৭ টার মেয়েটার সাথে চট্টগ্রাম নিউমোরিং তার বাসার পাশে রেল লাইন এ দেখা করে এবং সেখান থেকে রিক্সায় করে বেশপিং মার্কেটে ফুচকা ঘরে গিয়ে একসাথে বসে ফুচকা খায় দুজন মিলে আর এটাই তাদের প্রথমে বসে একসাথে খাওয়া। এভাবে করে তাদের প্রতিনিয়ত সম্পর্কে চলতে থাকে এবং প্রতিদিন দেখা করা হয়। পরে ১৮ তারিখে মেয়েটা ও ছেলেটা এবং ওর একটা বন্ধু সহ সিএনজি দিয়ে আগ্রাবাদ শিশুপার্কে ঘুরতে যায় এবং অনেক ফোটোগ্রাফি করা হয়। এভাবে করে তাদের সম্পর্ক আরো ভালো ভাবে হতে থাকে।

পরে ছেলেটা অনার্সে ভর্তি হবে বলে কোচিং করার জন্য ঢাকাতে যেতে হবে ওর আব্বু চাচ্চু ফোন করে তাকে ঢাকা যাওয়ার জন্য। মার্চ মাসের ৪ তারিখে ঢাকা যাবে বলে কথা ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে ছেলেটার । রাত ১০ টায় ট্রেন হঠাৎ করে সেই ৪ তারিখে মেয়েটা বাসা থেকে বের হতে পারছে না। সন্ধ্যার পরে সে মেয়েটার বাসার ছাদে গিয়ে ওর সাথে দেখা করে। সাথে ওর বড় বোনের ছোট মেয়ে জান্নাত ছেলে ফাহিম ওদের সবার সাথে দেখা হয় পরে ছেলেটা রাত ৯ টায় ওর কাছ থেকে চলে এসে রেল স্টেশন গিয়ে ঢাকায় চলে আসে। ঢাকাতে এসে কোচিং এ ভর্তি না হয়ে ভর্তি পরীক্ষা এক সেট বই কিনে বাড়িতে যায়, বাড়িতে যাওয়ার কারন ১২ তারিখে বাংলাদেশ পুলিশ লাইনে ছেলেটার জেলাতে তাহার মাঠ ছিলো।

পারে ঢাকা থেকে ৯ তারিখে বাড়ির উদ্দেশে দিয়ে ১০ তারিখে বাড়িতে গিয়ে এক দিন থেকে ১১ তারিখ তাহার আন্টির বাসায় গিয়ে পুলিশ লাইনে পরিক্ষা দিয়ে আবার বাড়িতে যায়। কিছু দিন বাড়িতে থেকে এপ্রলি মাসের ২ তারিখে আবার চট্টগ্রামে যায় সে। ৩ তারিখ রাত ৮ টার সময় আবার মেয়েটার সাথে ফ্রি পোর্ট দেখা করে রিক্সায় করে ওর ছোট বোনের বাসায় যায় (আকমল আলী পকেট গেট) মেয়েটার একটা কাজে। এভাবে করে প্রতিনিয়ত তাদের সর্ম্পক আগের মতো করে চলতে থাকে এবং প্রতিদিন দেখা হয় তাদের। সামনে রমজান ঈদ তাই ছেলেটা আর আন্টি ২০ তারিখে আবার বাড়িতে চলে আসে।

পরে ঈদ শেষ করে মে মাসের ২১ তারিখে আবার চট্টগ্রামে যায়। গিয়ে মেয়েটার সাথে ২৪ তারিখে আবারো আগ্রাবাদ শিশুপার্কে ঘুরতে যায় এবং ২৫ তারিখে রেল বিট ঘুরে এবং অনেক ফোটোগ্রাফি করা হয়। এভাবে করে তাদের দুজনের প্রতি দু’জনের মায়া আরো বাড়তে থাকে।

পরে মেয়েটা একদিন ছেলেটাকে বলে বিয়ে করবে করে এবং দু’জন একসাথে থাববো। কিন্তু এই মূহুর্তে ছেলেটার কাছে কোন টাকা নেই বিয়ে করার মতো, আর মেয়েটা তার আপুর বাসায় থাকবে না ছেলেটার সাথে থাকবে। পরে মেয়েটাকে বিয়ে করবে বলে ছেলেটা জুন মাসের ৯ তারিখে সি ইপিজেড গার্মেন্টসে চাকরি নিলো ইমার্জেন্সি। সামনে কোরবানি ঈদ ছেলেটার বাড়িতে যেতে হবে এবং অনার্সে ভর্তি হতে হবে তাই জুলাইয়ের ১ তারিখ রুম ছেড়ে দিয়েছে। পরে ছেলেটা রুম ছেড়ে দিয়ে তাহার এক মামার বাসায় ছলে আসলো।

এদিকে ছেলেটা ৭ তারিখে পযার্ন্ত অফিসে ডিউটি করতে হবে । আর প্রতিদিন অফিস শেষ করে মেয়েটার সাথে দেখা করে, এভাবে কারে ৫ তারিখ চলে আসে আর ৫ তারিখে মেয়েটাকে আগ্রাবদে নিয়ে ঈদের শপিং করে দেয় ছেলেটা। পরে ৬ তারিখ অফিস শেষ করে সন্ধ্যায় ৬ টায় ওর সাথে আবার দেখা করে এবং রাত ১০ টায় মেয়েটাকে বাসায় দিয়ে আসে, আর ছেলেটা সেই রাতেই ৩ টায় তার মামার সাথে বাইকে বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে যাওয়ার সময় তাদের কথা থাকে ছেলেটা বাড়ি থেকে আসলে তারা বিয়ে কবরে।

বাড়িতে এসে মেয়েটার সাথে ঠিক আগের মতো রেগুলার ফোনে কথা হচ্ছে হঠাৎ মেয়েটা বলে আমি বাড়িতে যাব। তার কানর? ছেলেটার আনর্স এ ভর্তি হয়ে চট্টগ্রামে আসতে কয়েকদিন সময় লাগবে। এ জন্য মেয়েটা ছেলেটা আসা পর্যান্ট বাড়িতে গিয়ে থাকবে এ কথা বলে ১৫ তারিখে ও চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে ২১ তারিখ পর্যন্ত ঠিক মতো কথা বলে ছেলেটার সাথে হঠাৎ করে ২২ তারিখ থেকে মেয়েটা কোন কল দিচ্ছে না আর ছেলেটার ও কল রিসিভ করছে না। পরে ২৪ তারিখ বিকাল ৫ টার সময় ছেলেটা আবার ফোন দিলে কল ধরে মেয়েটা বলে তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। এটা বলে মেয়েটা এবং ছেলেটা কিছুক্ষন কান্নাকাটি করে মেয়েটা ফোন কল কেটে দেয় মা আসছে বলে। পরে কলে দিলেও কল রিসিভ করতেছে না মেয়েটা। সন্ধ্যার সময় মেয়েটার চট্টগ্রামের একটা বান্ধবী কাছে কল দিয়ে ছেলেটা বলে তার কাছে ফোন দেওয়ার জন্য। পরে সন্ধ্যার ৭ টায় মেয়েটার সাথে ছেলেটার আবার কথা হয় তখন মেয়েটা বলে ও তার শশুর বাড়িতে আছে! ফ্যামিলি জোড় করে তকে বিয়ে দিয়ে দিছে ওর কিছু করার ছিলো না! ছেলেটাকে ভালো থাকার জন্য, এবং মেয়েটার থেকে ভালো মেয়ে পাবে ছেলেট মাঝে মাঝে তাদের কথা হবে ! এই বলে মেয়েটা কল কেটে দেয়!!

এটা থেকে আমরা যা শিক্ষা পেলাম, একটি পুরুষ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত প্রেম ভালোবাসায় ঝরানো ঠিক নয়। কারোন ভালোবাসর মানুষকে না পাওয়ার যন্ত্রা খুবই কঠিন যদি সেটি হয় সত্যি কারের ভালোবাসা।

পুরোটাই কাল্পনিক!

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com