মিলি সিকদারঃ ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওর্য়াডের মুন্সি বাড়ির নূর ইসলাম এর ছেলে রাসেলের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে রেবিস ভাইরাস আক্রন্ত গরু জবাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই এলাকার বুলুর ছেলে মনিরের গরুটি রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত বলে পশু ডাক্তার সন্দেহ করেন।পরে পশু (গরু) টি অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয় পশু চিকিৎসক পলাশ গরুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে পশুটি অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে পশু চিকিৎসক পার্থকে আনেন । দুজন চিকিৎসক গরুটিকে রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেন। গরুটির অবস্থা আরো আশঙ্কা জনক হলে শনিবার সন্ধ্যায় পাশের বাড়িতে রাসেলের বিয়ের আয়োজকদের কাছে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেন। শনিবার রাত ১০ টায় গরুটিকে জবাই করা হয়। আগামী সোমবার ওই বাড়িতে বর পক্ষের অনুষ্ঠানে অতিথি আপ্যায়নের জন্য রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত পশুটি দিয়ে আয়োজনের প্রস্ততি চলছে বলে স্থানিয়রা জানান। স্থানিয়রা আরো জানায়, রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত পশুটি খাসমহল বাজার এলাকায় আজহার মিয়া পোল সংলগ্ন ফরাজি বাড়ির কনে পক্ষকে অতিথি আপ্যায়ন করার জন্য রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে বর পক্ষের রহমান আলী জানান, আমরা গরুটি কিনেছি জবাই করে নিজেরা খাবো।
তবে স্থানিয় পশু চিকিৎসক পলাশ জানান, মনিরের গরুটি রেবিস ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রথমে আমি চিকিৎসা করি। পরে পশু চিকিৎসক পার্থ স্যার চিকিৎসা দেয়। ঔষধে কাজ না করায় গরুটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পশুটির খারাপ লক্ষন দেখে পশুটি আর ভালো হবে না বলে আমরা গরুর মালিক মনিরকে জানাই।বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাবেক ভেটেরিনারি সার্জন পার্থ সাহা বলেন গরুটির ১০৩ ডিগ্রি জ্বর মুখ দিয়ে লালা নিঃসরন হচ্ছে গরুটির রেবিস ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েছে বলে আমি সন্দেহ করি।আমি উক্ত গরুটিকে স্পর্শ না করতে এবং গরুর মাংস না খেতে গরুর মালিকদের অনুরোধে করেছি।কেননা রেবিস ভাইরাস একটি ছোঁয়াছে রোগ এই রোগে যে কোন সময়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে।