শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
রুয়ান্ডায় গরিলা নামকরণ উৎসবের ২০তম আসর উদযাপন চট্টগ্রাম মডেল স্কুল’র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী(সা.)উদযাপনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গভীর শোক: সাংবাদিক আরিফিন তুষারের অকাল প্রয়াণ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো “বর্জ্যের বিনিময়ে স্বাস্থ্যসেবা” কর্মসূচি পরিবেশ ও প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের অভিনব উদ্যোগ “ন্যায্য জ্বালানির অঙ্গীকার, নির্মল বায়ু সবার অধিকার”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীল আকাশের জন্য আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস-২০২৫ উদযাপন পতেঙ্গায় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে স্থান পরিদর্শনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা-নূরজাহান বেগম ভোলা জেলা ছাত্র ফোরাম, চট্টগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ-২০২৫ অনুষ্ঠিত এলপিজি গ্যাসের দাম প্রতি কেজিতে কমলো ৩ টাকা কার্যকর সেপ্টেম্বর মাস থেকে উদযাপিত হল অসংখ্য উদ্যোক্তাদের প্রানের প্লাটফর্ম Young Entrepreneurs Success (YES) তরুণ উদ্যোক্তাদ ইয়েস ২১স্কুলের ১০০০ তম দিন ৩৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের উদ্যোগে -২০২৫ ইং এস এস সি মেধাবী মুখ কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনায় :

থমকে গেছে হাজারো মানুষের জীবনযাত্রা ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৮নং রহিমানপুর ইউনিয়নের মানুষদের | manob somoy

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২, ৩.১৭ পিএম
  • ৩৪৭ বার পঠিত

 

খুকুমণি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৮নং রহিমানপুর ইউনিয়নের ৬নংওয়ার্ডের হরিহর পুর হাজিপাড়া গ্রামের পাশে সুখ নদীতে অবস্থিত বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি সাঁকোটি ভেঙে গেছে। এতে করে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এসব মানুষের।

হরিহরপুর হাজিপাড়া গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই দিনমজুর। এসব মানুষ প্রতিদিন সকালে কাজের সন্ধানে শহরে ছুটে যান। সারাদিন কাজ শেষে সন্ধায় বাড়ি ফেরেন তারা। একদিন কাজে না খেলে খাবার জুটবে না তাদের। হঠাৎ সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব
অসহায় মানুষ। একই সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার শিক্ষার্থী ও অসুস্থ মানুষগুলো। এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা এখন আর স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। ওই এলাকার মানুষের দাবি সাঁকোটির স্থানে একটি স্থায়ী ব্রিজ করা হোক।

 

স্থানীয় বেলাল হোসেন বলেন, আপনারা খবর নিয়ে দেখেন এ গ্রামে যারা বসবাস করেন সবাই দিনমজুর। একদিন বাড়ি থেকে বের না হলে, না খেয়ে থাকতে হবে তাদের। প্রতিবছর চাঁদা তুলে সাঁকোটা ঠিক করি আমরা। এবার পুুরোপুরি ভেঙে গেছে। এতে করে আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজ যেতে পারছে না।

তিনি বলেন, গরিবের কষ্ট গরিব না হলে কেউ বুঝবে না। শুধু শুনছি ব্রিজ হবে। কবে হবে এটা আল্লাহই ভালো জানেন।

স্কুলছাত্র নাদিম জানায়, আমি এই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাই। পার হওয়ার সময় খুব ভয় লাগে। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় স্কুল যেতে পারছি না। আমাদের এখানে ব্রিজ হলে খুব ভালো হবে।

বিধবা মনোয়ার বেগম বলেন, মোর স্বামী সন্তান কেউ নাই। ভিক্ষা না করলে না খায় থাকিবা হয়। বৃষ্টির তাহানে বাঁশের সাঁকো খান ভাঙে গেছে। এলা মুই ভিক্ষা করিবা পারু না, শহরত যাবা পারু না। আইজ এলাও না খায়ে আছু মুই। সাঁকো খান ভালো করে দেন।

 

হরিহরপুর হাজিপাড়া মসজিদের ইমাম বলেন, আমাদের এই বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘদিনের। ব্রিজের দাবি অনেকবার করেছি, কিন্তু কেউ কোনো কর্ণপাত করেন না। কেন কর্ণপাত করছেন না এটাই বুঝে উঠতে পারছি না। সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। প্রতিবার বৃষ্টির সময় এটি ভেঙে যায়। এবারও ভেঙে গেল। ভেঙে যাওয়ার কারণে আমরা অচল হয়ে গেছি। নদীর ওই পারে রোড বাজার। যেখানে আমাদের সবকিছু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য যেতে হয়। আমাদের এ ভোগান্তি দূর করে এখানে একটি ব্রিজ স্থাপন করে দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে রহিমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন ব্রিজের জন্য কয়েক দফায় আবেদন করা হয়েছে। অনেক বড় টেন্ডারের বিষয়। এটি পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেখা যাক কবে এ সমস্যার সমাধান হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com