হাবিবুর রহমান,চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতি
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গরু-ছাগল ও ঘর দেয়ার নাম করে ৪০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের দায়ে, প্রতারক চক্রের দুই সদস্য কে গ্রেফতার করেছেন, চিলমারী মডেল থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার রমনা ও কুষ্টারী এলাকা থেকে তাদের কে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন রমনা মিস্ত্রিপাড়া এলাকার মোঃ কায়ছার আলীর ছেলে সেকেন্দার হোসেন শিপুল (২৬) ও বেলাল পানাতির ছেলে ফজলু পানাতি (৫৫)।
জানা গেছে,উপজেলার রমনা মিস্ত্রিপাড়া এলাকার মোঃ কায়ছার আলীর ছেলে সেকেন্দার হোসেন শিপুলের নেতৃত্বে একটি প্রতারক চক্র। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ,গরু-ছাগল,ঘর ও চাকুরী দেয়ার নাম করে সাধারন মানুষের নিকট হতে, প্রতিটি গরুর জন্য ৫ হাজার টাকা, ছাগলের জন্য ১ হাজার টাকা ও ঘরের জন্য ১০ হাজার টাকা করে ৩/৪শ জনের নিকট হতে প্রায় ৪০ লাখ টাকা প্রতারনা করে হাতিয়ে নিয়েছে। তারা প্রাথমিক ভাবে মানুষের মাঝে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য কয়েক জন কে গরু,ছাগল,রড়-সিমেন্টের তৈরী খুটি ও টিন দেয়। এক সময় প্রতারনায় শিকার ভূক্তভোগীদের চাপে শিপুল গা ঢাকা দেয়। বর্তমানে শিপুল বাড়ীতে আসলে পাওনা দাররা তার বাড়িতে ভীর করতে থাকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় বাড়ী থেকে পালিয়ে থানাহাট কুষ্টারী এলাকায় বোনের বাড়ীতে আসলে। সেখানে শতাধিক পাওনাদার বাড়ী ঘেরাও করে। এ সময় চিলমারী মডেল থানায় খবর দিলে, থানার পুলিশ শিপুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাতে শিপুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ফজলু পানাতি নামে। প্রতারক চক্রের আরও এক প্রতারক কে আটক করে পুলিশ। এদিকে পুলিশ ফজলু পানাতিকে আটক করায় ফজলু পানাতির স্ত্রী আরফিনা ও শ্যালক মুকুল মিয়া মিলে শিপুলের বাবা কায়ছার আলীকে বাড়ীতে তুলে নিয়ে ভয়-ভিতি দেখাতে থাকে। স্থানীয়রা বিষয়টি ৯৯৯ এ জানালে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আরফিনা ও মুকুল মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে। পরে ভূক্তভোগী মোঃ ওমেদ আলী বাদী হয়ে প্রতারনার মামলা করলে শুক্রবার বিকেলে সেকেন্দার হোসেন শিপুল ও ফজলুল হক পানাতিকে প্রতারনার মামলায় এবং আরফিনা ও মুকুল মিয়াকে ১৫১ধারায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান,গরু,ছাগল ও ঘর দেয়ার নামে প্রতারনা করে ৩/৪শ জনের নিকট হতে প্রায় ৪০লাখ টাকা উত্তোলন করায় প্রতারনার মামলায় ২ জনকে এবং ১৫১ ধারায় ২ জনকে জেল হাজতে পাঠানো করা হয়েছে।