মানব সময় ডেস্ক :
১।বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। নিহত ভিকটিম পারভেজ বাবু এবং আসামী মোঃ ইউসুফ আলী সম্পর্কে চাচা ভাতিজা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বন্টন নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ও দ্বন্ধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ০৫ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ আসামী মোঃ ইউসুফ আলী (৪৮) ও তার অন্যান্য সহযোগী আসামীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে দেশী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ীর সীমানায় পাঁকা দেয়াল নির্মাণ কাজ শুরু করিলে নিহত ভিকটিম পারভেজ বাবু নির্মাণ কাজে বাধা দিলে আসামি মোঃ ইউসুফ আলী এবং তার অন্যান্য সহযোগী আসামিরা ভিকটিম পারভেজ বাবুকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় তৈরী রামদা, কিরিচ দ্বারা ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এবং ভিকটিমের পরিবার মুমূর্ষু অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন এবং সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যু হয়।
৩।এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় ০৮ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-১০, তারিখ-০৫ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/ ৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬/৩০২ পেনাল কোড ১৮৬০।
৪। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সূত্রে বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ০১নং প্রধান আসামী মোঃ ইউসুফ আলী বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এবং র্যাব-১২ বগুড়া এর একটি আভিযানিক দল গত ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখ বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ইউসুফ আলী (৪৮), পিতা-মৃত ইছহাক আহমেদ, সাং-তরছপাড়া, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত মামলার ০১নং এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় সে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে বগুড়া জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।
৫।গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।