চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে ৪র্থ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ১২ বছরের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ: অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। অপহৃত ভিকটিম ১২ বছর বয়সের এবং ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। ভিকটিমের বড় ভাইয়ের সাথে আসামী মোঃ সুমন (২০) এর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাধে সে প্রায়ই ভিকটিমদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত এবং ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিত। ভিকটিমের বাবা বিষয়টি বুঝতে পেরে সুমনকে তাদের নাবালিকা মেয়ের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ কিংবা উত্যক্ত না করার জন্য নিষেধ করলে আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের বাবাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে যে সে যেকোন সময় তার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকায় ভিকটিম মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে আসামী সুমন পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন প্রকার প্ররোচনা, লোভ-লালসা ও ফুসলিয়ে তাকে সিএনজিতে করে অজ্ঞাত একটি বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা তার মেয়েকে হাটহাজারীসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজা খুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে হাটহাজারী থানায় নিখোজ সংক্রান্তে একটি জিডি করেন যার জিডি নং-১৫, তারিখ-০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং এবং বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করেন।
৪। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরনের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ দুপুর অনুমান ১২৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানাধীন খিল্লাপাড়া রেল ক্রসিং এলাকা হতে উক্ত অপহরণের সাথে জড়িত আসামী ১। মোঃ সুমন (২০), পিতা-মৃত ফকির আহমেদ, সাং- চারিয়া, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। ডেইজী আক্তার (২৮), স্বামী-মোঃ আক্তার হোসেন, সাং-চারিয়া, পোঃ- সরকারহাট, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রামকে আটক এবং অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
৫। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী সুমন স্বীকার করে সে বিভিন্ন প্রকার লোভ-লালসা ও মিথ্যা আশ্বাস সহ জোর পূর্বক নাবালিকা ভিকটিমকে অপহরণ করে এবং তার ভাবী ০২ নং আসামীর সহায়তায় ভিকটিমকে বাসায় আটক রেখে শারীরিক সর্ম্পক স্থাপন করে।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।