বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
এলপিজি গ্যাসের দাম প্রতি কেজিতে কমলো ৩ টাকা কার্যকর সেপ্টেম্বর মাস থেকে উদযাপিত হল অসংখ্য উদ্যোক্তাদের প্রানের প্লাটফর্ম Young Entrepreneurs Success (YES) তরুণ উদ্যোক্তাদ ইয়েস ২১স্কুলের ১০০০ তম দিন ৩৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের উদ্যোগে -২০২৫ ইং এস এস সি মেধাবী মুখ কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনায় : বন্দরটিলা ডাইনামিক নাছির প্লাজা কাঁচাবাজার ও শপিং মলের উদ্বোধন :: অসাধারণ মানবিক কাজে এগিয়ে আসায় ৩ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করলেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বন্দর -ইপিজেডস্থ ৩৮ নং ওয়ার্ডের রেললাইন সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কার কাজে ধীরগতির অভিযোগ চট্টগ্রামে দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠা উদযাপন: বস্তু-নিষ্ঠা সংবাদ পরিবেশন ভালো সাংবাদিকতার বহি: প্রকাশ চরফ্যাশনে রসুলপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির পরিচিতি সভা চট্টগ্রামে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ ” ওয়াকফ সম্পত্তি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কার্যক্রমে সরকার কাজ করছে “সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ’ — এম.নজরুল ইসলাম খান

এক কেজি বেগুনের দামে চার কেজি আলু!

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ১২.৪৮ পিএম
  • ৬৪৯ বার পঠিত
ফাইল ছবি

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার হাট-বাজারে সব ধরনের শাক-সবজির দাম বাড়লেও আলুর দর পতন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে এক কেজি বেগুণের দামে চার কেজি আলু (পুরাতন) মিলছে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় এবং আলু (পুরাতন) বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে।

এদিকে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় কৃষকরা হিমাগার থেকে আলু উত্তোলন করছেন না। কেউ কেউ সংসারের প্রয়োজনে হিমাগারে রাখা আলু পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে আলুর দাম কমায় ক্রেতারা খুশি হলেও কৃষকরা দিশেহারা ও হতাশ হয়ে পড়েছেন।

আদমদীঘির কদমা গ্রামের আলু চাষি হজরত আলী, মুসা ফকির, রাশেদুল ইসলাম, সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আলুর দাম কমে যাওয়ায় আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। বর্তমানে যে দরে আলু বিক্রি হচ্ছে তাতে উৎপাদন খরচও উঠবে না।’

গত রবিবার সকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, রবি মৌসুমের (শীতকালীন) সব শাক-সবজি উঠেছে। সব শাক-সবজির দাম চড়া। প্রতিকেজি বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, পালংশাক ১০০ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, দেশি পিঁয়াজ ৭০ টাকা ও ভারতীয় পিঁয়াজ ৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকা কেজি।

আদমদীঘির চাঁপাপুর এলাকার আতারউর রহমান মিলন মাস্টার বলেন, ‘দাম চড়া হওয়ায় চলতি মৌসুমে আমরা সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। তাই দ্রুত এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব সবজির দাম চড়া হলেও আলুর দাম অনেক কম। কারণ গতবছর পর্যাপ্ত পরিমান আলু উৎপাদন হয়। আবার বাজারে চলতি বছরের নতুন আলু আসা শুরু করেছে। তাই গত বছরের আলু বিক্রি না হওয়ায় এখন দাম কমেছে।’

কুণ্ডুগ্রামের হাফিজুর রহমান বলেন, ‘কৃষক পর্যায়ে সব সবজির দাম অনেক কম। কিন্তু হাত বদল হয়ে সবজি বাজারে আসতে আসতে দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষজনকে সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে গত মৌসুমে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিকটন। এর মধ্যে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিকটন বিভিন্ন হিমাগারে সংরক্ষণ করেন। বাকি আলু খাবার জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে নিজ নিজ বাড়িতে সংরক্ষণ করেছেন কৃষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com