ডেস্ক নিউজ :
র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।চট্টগ্রামে ধর্ষণর মামলার সাক্ষী দিতে এসে ধর্ষণের শিকার হয় এক নারী। ঘটনাটি মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানায় ০৬ জনকে মূল আসামি করে অজ্ঞাতনামা ০৪ জনসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ২৭, তাং-৩০ নভেম্বর ২০২০ ইং, ধারা- ৯(৩)/৩০, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ তৎসহ ধারা- ৩৭৯/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড- ১৮৬০। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত ঘটনার আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত শুরু করে। ছায়াতদন্তের এক পর্যায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত ধর্ষণ মামলার আসামীরা চট্রগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৬ নভেম¦র ২০২১ ইং তারিখ ২০৩০ ঘটিকায় র্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা উক্ত ধর্ষণ মামলার ০২ জন আসামী ১। মোঃ কিরন (৩৭), পিতা-মৃত জালাল আহমেদ সওদাগর, সাং-জামতলা, ডেবারপাড়, থানা-বায়োজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম মহানগর এবং ২। মোঃ সোহাগ মিয়া (৩৫), পিতা-মোঃ নুর নবী, সাং-ডেবারপাড়, থানা-বায়োজিদ বোস্তামী, জেলা- চট্টগ্রাম মহানগর‘দের আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা র্যাবের নিকট প্রাথমিকভাবে উক্ত ধর্ষণের সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।উল্লেখ্য যে, গত ০৮ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ ১৩০০ ঘটিকায় উপরোল্লিখিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ১। আলমগীর (৩০) এবং অপর আসামী ২। মাহবুব আলম’কে র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়। আসামী মোঃ সোহাগ মিয়া এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়োজিদ বোস্তামী থানায় ০৩ টি মামলা রয়েছে।আটককৃত আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীরর আকবরশাহ্ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।