সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
তজুমদ্দিনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা বোর্ড’র অধীনে কেয়া বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন ডি.এইচ.এম’এস হোমিও চিকিৎসক কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর বারেক আটক আলোর পথে-সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন চট্টগ্রাম মডেল স্কুলে বিজয় দিবস উদযাপন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন উপলক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত : তজুমদ্দিনে ইরি-বোরো ধানের স্কীম নিয়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতার সংঘর্ষে আহত ২ জন জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি-চট্টগ্রাম’র বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন চট্টগ্রাম মডেল স্কুল’র ইন হাউস প্রশিক্ষণ

দুর্নীতিবাজ চক্রের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১০.১৪ এএম
  • ৬৪৫ বার পঠিত
ফাইল ছবি

এনসিটিবির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছরে ছয়টি উৎসবভাতা নেন, উপরন্তু নানা ধরনের সম্মানী ভাতা বাবদ তাঁরা চলতি বছর ইতিমধ্যে ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের একটি অংশ পাঠ্যবই মুদ্রণ-প্রক্রিয়ার সঙ্গে অবৈধভাবে জড়িয়ে পড়েছেন। দরপত্র আহ্বানের আগেই তাঁরা প্রাক্কলিত দর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দেন; সেই সব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করে দরপত্র জমা দেয়। অর্থাৎ তাঁদের সহযোগিতায় একটা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যাঁরা দরপত্র-প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতার নীতিকে অর্থহীন করে দিয়েছেন। এনসিটিবির কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বেনামে মুদ্রণ-প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান পাঠ্যবই ছাপার কাজ পায়। অবৈধ আর্থিক লেনদেনের ফলে নিম্নমানের কাগজে ছাপা পাঠ্যবই ‘সন্তোষজনক’ ছাড়পত্র পায়; মুদ্রণ-প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছাপা বই জমা দিতে ব্যর্থ হলেও এনসিটিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সঠিক সময়ে বই পাওয়া গেছে।

এনসিটিবির এসব অনিয়ম-দুর্নীতি চলছে বছরের পর বছর ধরে; এটা একটা সংঘবদ্ধ ও নিয়মিত ব্যবস্থা, যা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ ধারণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা টিআইবির প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রথম আলোকে বলেছেন, এ ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করণীয় কী, তা তাঁরা পরে জানাবেন। এটা দায়সারা বক্তব্য; এই মাত্রার অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করণীয় নির্ধারণের দ্বিধাদ্বন্দ্বের সুযোগ নেই। তাঁর প্রতিষ্ঠান নিয়মিতভাবে নজরদারি করলে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়মিত চর্চায় পরিণত হতে পারত না।

পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন-প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক, দলীয় বা ভাবাদর্শগত দিকে যেসব অভিযোগ টিআইবির প্রতিবদনে তুলে ধরা হয়েছে, সেগুলোও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ বিষয়ে সরকারের নীতিগত ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হতে পারে, কিন্তু পাঠ্যবই প্রণয়ন, মুদ্রণ ও বিতরণের প্রক্রিয়ায় আর্থিক দুর্নীতি ফৌজদারি অপরাধ এবং তা চলে আসছে সংঘবদ্ধভাবে, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে। এটা কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না। শুধু এনসিটিবির প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ নয়, এই অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিকার করা ও তা চিরতরে বন্ধ করার জন্য ফৌজদারি আইন প্রয়োগ করা উচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com