সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
তজুমদ্দিনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা বোর্ড’র অধীনে কেয়া বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন ডি.এইচ.এম’এস হোমিও চিকিৎসক কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর বারেক আটক আলোর পথে-সাংবাদিক ক্লাবের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালন চট্টগ্রাম মডেল স্কুলে বিজয় দিবস উদযাপন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন উপলক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত : তজুমদ্দিনে ইরি-বোরো ধানের স্কীম নিয়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতার সংঘর্ষে আহত ২ জন জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি-চট্টগ্রাম’র বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন চট্টগ্রাম মডেল স্কুল’র ইন হাউস প্রশিক্ষণ

অবহেলিত রেলওয়ে

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১০.১০ এএম
  • ৬৪৭ বার পঠিত
ফাইল ছবি

প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অনুমোদিত ৩ হাজার ১৭১ জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ২৮টি উপকারখানায় (শপ) কর্মরত আছেন ১ হাজার ২০৪ জন শ্রমিক-কর্মচারী। অর্থাৎ জনবল ঘাটতি ১ হাজার ৯৬৭ জন। অনেকে কমিশন পাওয়ার আশায় দেশে যন্ত্রপাতি না বানিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করতে বেশি উৎসাহী।

কোনো কারখানা কি দুই-তৃতীয়াংশ পদ খালি রেখে চলতে পারে? কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে বলে কথা। আড়াই দশক আগে রেলওয়েতে সোনালি করমর্দনের মাধ্যমে রেলওয়ের লোকবল কমানো হয়েছিল। সেটি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত—মাথাব্যথা সারানোর নামে মাথা কেটে ফেলা।

রেলওয়ের প্রতি আগের সরকারগুলোর অবহেলা এতটাই প্রকট ছিল যে তারা মন্ত্রণালয়টি তুলে দিয়ে একটি বিভাগে রূপ দিয়েছিল। এখন আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় হলেও আগের বদভ্যাস কাটাতে পারেননি রেলওয়ের পদাধিকারীরা। যেখানে একটি কারখানায় অনুমোদিত জনবলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পদ খালি, সেখানে রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার আগ্রহী দাবি করা হাস্যকর। প্রতিবেশী ভারতে যখন রেলপথের সেবা বাড়ানো হচ্ছে, তখন বাংলাদেশে রেলওয়ে সংকুচিত করা আত্মঘাতী ছাড়া কিছু নয়।

রেলওয়ের আয় বাড়াতে হলে এর যাত্রীসেবার মানের পাশাপাশি রেলপথের দৈর্ঘ্যও বাড়াতে হবে। বর্তমানে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় সীমিত লোকবল দিয়ে মাসে যদি গড়ে ২৬টি কোচ ও ২৫টি মালবাহী ওয়াগন মেরামত এবং প্রায় ১ হাজার ২০০ রকমের যন্ত্রাংশও তৈরি সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় লোকবল থাকলে অনেক বেশি কোচ-ওয়াগন মেরামত ও যন্ত্রাংশ তৈরি করা সম্ভব হতো। দেশে এসব রেলওয়ে সরঞ্জাম তৈরি হলে রেলওয়ে যেমন স্বাবলম্বী হবে, তেমনি মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।

অবিলম্বে সৈয়দপুর কারখানায় অনুমোদিত পদে লোক নিয়োগ করে এর উৎপাদন বাড়ানো হোক। রেলওয়েকে স্বাবলম্বী করতে হলে এর বিকল্প নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com