এম এ হান্নান, তোজুমদ্দিন প্রতিনিধ :
তজুমদ্দিন মডেল মসজিদের উত্তর পাশে শশীগঞ্জ চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার বাড়িতে গতকাল ৯ জানুয়ারি ২০২৪ রাত ৩টা ১৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে আগুন বাড়ির মূল অংশে নয়, তাদের খড়ের চাউলি এবং লাকড়ি রাখার ভাঙা ঘরে লাগে।৮০ বছর বয়সী ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার জানান, তার পুত্রবধূ সোনালী রায় রাতে কাঠ ভাঙার শব্দ শুনে বাইরে তাকিয়ে আগুন দেখতে পান। চিৎকার দিয়ে সবাইকে ডাকেন। আগুনের সূত্রপাত খড়ের চাউলি থেকে হয় এবং দ্রুত লাকড়ি রাখার ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘরে উপস্থিত ছিলেন ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে সৈকত কুমার সরকার (৪৮), পুত্রবধূ সোনালী রায় (৪০), এবং তাদের দুই সন্তান অগ্নি সরকার (১১) ও অর্চি সরকার (৬)।আগুন নেভাতে পরিবারের সদস্যরা তৎপর হয়ে ওঠেন। স্থানীয় বাসিন্দারা, যাদের মধ্যে শিহাব (১৭), আজগর (৪২), কাকন (৪০), ও সৈকত শ্যামল উল্লেখযোগ্য, দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। প্রতিবেশী ফুয়াদ ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিয়ে আগুন লাগার খবর দেন।তজুমদ্দিন ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. শাহ আলম জানান, রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে আগুনের খবর পেয়ে লিডার মোকলেছুর রহমানের নেতৃত্বে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের যৌথ প্রচেষ্টায় সকাল ৫টা ৩০ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।তজুমদ্দিন থানার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনা জানার পর তিনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। থানায় অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার এই অগ্নিকাণ্ডকে একটি পরিকল্পিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি দাবি করেন, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং তাদের ক্ষতি করার জন্যই কেউ আগুন দিয়েছে। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেন।ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার একসময় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে ড্রাইভার ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি কৃষিকাজে নিয়োজিত।অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।