মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শারদীয় দুর্গাপূজা সুুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করা হবে -বললেন ফরিদা খানম, জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম : মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো কেয়া মণি’র লেখা “অভ্যস্ত পাথর” কবিতাটি অপরাজনীতি বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে ছাত্রদল প্রস্তুত রয়েছে – মতবিনিময় সভায় সাইফুল আলম মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো রীতা জেসমিন এর লেখা “গোধূলি’ তজুমদ্দিনে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন: বেনাপোল যানজট নিরসনে পোর্ট থানার নবাগত ওসি ও সার্জেন্টের ঝটিকা অভিযান রামপুর ওয়ার্ড বিএনপি উদ্যোগে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বে -শপিং সেন্টার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার চট্টগ্রাম এর অভিযান ও জরিমানা : বেনাপোল পুলিশের অভিযানে আটক- ৫

বানারীপাড়ার পুরাকৃর্তি কমলা রানীর বাড়ী | manob somoy

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০২২, ৭.২৫ এএম
  • ৬৪৪ বার পঠিত

মানব সময় তথ্য ডেস্ক :

আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো বানারীপাড়ার প্রচীন ঐতিহাসিক একটা বাড়ীর অজানা কিছু তথ্য। বাড়িটা সকলের কাছে কমলা রানীর বাড়ী হিসাবে পরিচিত হলেও মূলত এই বাড়ীর অরিজিনাল মালিকের নাম ছিলো জামিনী চৌধুরী (জামিনী বাবু)। তার পরিবাের বাকি সদস্যদের মধ্য ন্যাগা চৌধুরী, ম্যাগা চৌধুরী, রমেশ বাবু, লাল চান সাডুর নাম লোক মুখে শোনা যায়। বাড়ীটি আনুমানিক ১৬২ একর জমি নিয়ে বিস্তৃত। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় এই বাড়ীর মালিক জামিনী চৌধুরীর ছেলে জিতেন চৌধুরী এবং তার বৌ এই কমলা রানী। তাদের ঘরেও ছিলো একটি মাত্র কন্য সন্তান। আনুমানিক আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের কিছু আগে বা পরে কমলা রানী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরে তখন তাকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ঐখানেই কিছুদিন পরে তার মৃত্যু হয়। এবং তার মেয়ে ঐ সময় থেকেই ভারতে স্থায়ী ভাবে থেকে যায়। স্থানীয় লোকজন তার সাথে বাড়ীটির বিক্রি করা হবে কিনা সেজন্য যোগাযোগ করলে সে বিক্রি করতে অনিচ্ছা জ্ঞাপন করে এবং অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে এখানে থাকতে দিতে ইচ্ছে প্রকাশ করে।
কিন্ত বর্তমানে কিছু ক্ষমতাশীল ব্যাক্তিবর্গ ঐ বাড়ীটা নামে মাত্র সরকারি ডিসিআর দেখিয়ে এই বিপুল সংখ্যক সম্পত্তি ভোগদখল করে আছেন। তাই প্রশাশনের কাছে অনুরোধ এর সত্যতা যাচাই বাচাই করে সরকারীভাবে বাড়ীটি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের কাছে স্থানান্তর করা হোক। বাড়ীটি আমাদের ঐতিহ্য বহন করে তাই এটা হতে পারে দর্শনীয় একটা স্থান, এখান থেকে আমাদের বিপুল সংখ্যক রাজস্ব আয় করা সম্ভব। সম্পূর্ণ সম্পত্তি যদি সরকারের আয়ত্বে এনে এখানে একটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে এখানে থেকে স্থায়ীভাবে ২০/৩০ জন বেকার জুবকের কর্মস্থান করা সম্ভব। আশাকরি চাখার জাদুগরের মতো এই বাড়ীটি দেখতেও দূর দূরান্ত থেকে অনেক লোকজন আসবে। সকল তথ্যগুলো স্থানীয় কিছু মুরব্বিদের মুখে শোনা, তাই ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

এই বিষয়ে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রশাশনিক কর্মকর্তাগনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

স্থানঃ কিভাবে যাবেন? – বানারীপাড়া রায়ের হাট বাজার থেকে রিক্সা, অটো বা বাইকে ১০ থেকে ১২ মিনিটের পথ মাত্র। হেটে গেলে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট লাগবে। রায়েরহাট থেকে দক্ষিণে আলতা যাওয়ার পথে এর অবস্থান। স্থানীয় যেকোনো লোককে বল্লেই দেখিয়ে দিবে।

তাং১৩/০৭/২২ইং

লেখেছেন – মোঃ সুমন হোসেন
বানারীপাড়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা
বানারীপাড়া ব্লাড ব্যাংকের সহ সভাপতি
ছবি তুলেছেন – মোঃ রাফি আহামেদ
বানারীপাড়া ব্লাড ব্যাংকের রক্ত বিষয়ক সম্পাদক

নিউজ প্রকাশে সহযোগিতা করেছেন

উপদেষ্টা : মুক্তা চৌধুরী

বানারীপাড়া, বরিশাল ||

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com