এম সফিকুল ইসলাম: শশীভুষণ প্রতিনিধি
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কয়েকজন ডক্টর বেতুয়া ঘাটে যায় ।
উদ্দেশ্য : ঘাটে প্রমত্ত মেঘনার বাতাস খাওয়া + নতুন খোলা রেস্টুরেন্টের ফুড রিভিউও করা যাবে হয়ত বোনাস হিসেবে তখন
রাত ১০ টা ৪০ মি : এ দেখা যায় হঠাৎ
একটি স্পীডবোট ঘাটে ভিড়ে এবং একজন গর্ভবতী মা সহ তার পরিবারের তিনজন বোট থেকে নেমে আসেন । আর ঠিক তখনই বাধল বিপত্তি !
মা মাটিতে বসে পড়লেন এবং প্রসব বেদনায় ছটফট করতে শুরু করলেন।
তখনই Dr. Suraiya Yasmin, Dr Nahid Hasan ও ঘটনা স্থলে ছুটে যাই। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই কাজে নেমে পড়ে । ড. সুরাইয়া অনেকটা ফেরেশতার মতই বাবুর মা এবং বাবুর জন্যে আবির্ভূত হন এবং মা কে আস্বস্ত করে সেখানেই নরমাল ডেলিভারির জন্যে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেন।
একটু দূরের ফার্মেসি থেকে ব্লেড এবং কর্ড ক্ল্যাম্প ম্যানেজ করে আনতে আনতেই ডাক্তার সুরাইয়া কোনো ঝামেলা ছাড়াই নদীর পারেই বাবুর ডেলিভারী সম্পন্ন করেন। কোনো গ্লাভস ছাড়াই কন্ট্রোলড কর্ড ট্র্যাকশন এর মাধ্যেমে গর্ভফুল (placenta) বের করে আনেন! পুরোটা ডেলিভারি তিনি সম্পন্ন করেন একদম খালি হাতে !!!
অতি নগন্য এক হাতে ইউটেরাইন ম্যাসেজ করেন এবং এক হাতে লাইট ধরে রাখেন ! ডাক্তার সুরাইয়া সাহসিকতায় মুগ্ধ সকলে বারবার 3 idiots সিনেমার সেই বিখ্যাত সিন গুলো মনে করে বলছিলাম All Is Well, All is Well !
বাবু এবং মা দুজনেই সুস্থ আছে আলহামদুলিল্লাহ !
নিত্যদিনের এমনই হাজারো ঘটনার সাক্ষী এবং সঙ্গী !
ড. সুরাইয়ার মত সাহসী ডক্টররা মাঠ পর্যায়ে সামান্য রিসোর্স দিয়েই সেবা দিচ্ছেন এবং অসংখ্য জীবন বাঁচানোর মাধ্যম হচ্ছেন সৃষ্টিকর্তার !
কিন্তু কেউ কি জানত স্রষ্টা আসলে কি উদ্দেশ্যে সেখানে তাদেরকে পাঠিয়েছিলেন?তাই একটি প্রবাদ আছে রাখে আল্লাহ্ মারে কে