মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন উপলক্ষে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা সম্পন্ন : চট্টগ্রামস্থ উখিয়া-টেকনাফ জাতীয়তাবাদী ছাত্রফোরামের আংশিক কমিটি গঠন” চরফ্যাশনে কোন প্রমাণ ছাড়া বিয়ের অভিযোগ। প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন  প্রাথমিকের সরকারি বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন’র অংশগ্রহণ ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর দাবি কেয়া’র পরিচালনায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা বোর্ড’র বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের গণমাধ্যম গত দেড় দশকে কী ভূমিকা রেখেছে তা বিশ্লেষণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ জাতিসংঘের কাছে দাবি জানানো হবে -প্রেস সচিব বাগেরহাট জেলা ফোরাম,চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে মহান মে দিবসের র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পতেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ১ম পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন:১৯৭৪-২০২৪ পর্যন্ত এক হাজার শিক্ষার্থীর মিলন মেলা গ্রাম আদালত কে শক্তিশালী করতে রাউজান উপজেলায় গ্রাম আদালত বিষয়ক ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত বন্দর প্রবেশ আইডি কার্ড হারিয়েছে :

নারীর প্রতি সহিংসতাঃ প্রতিরোধ ও প্রতিকার -লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১, ১১.৫৬ এএম
  • ৩৮২ বার পঠিত

 

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে দেশের আপামর জনসাধারণকে সচেতন ও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। বাল্যবিবাহ বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে অভিভাবক, শিক্ষকসমাজ ও এলাকার রাজনৈতিক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। নারী নির্যাতনের সংস্কৃতিকে সমর্থন করে, এমন পিতৃতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ নিরোধের লক্ষ্যে জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনকারীদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া বন্ধ করতে হবে। যৌতুক, পারিবারিক সহিংসতা ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে প্রতিরোধ।
নারীর বিষয়ে সমাজের পুরুষের বিশেষ করে তরুণ সমাজের যে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতা, তা থেকে আধুনিক যুক্তিযুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য সচেতনতার প্রয়োজন। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীসমাজকে সব ক্ষেত্রে সম–অংশগ্রহণের সুযোগ করে না দিলে এবং নারী ও কন্যাশিশুদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা বন্ধ না হলে সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে পারবে না। নারীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, এসিড সন্ত্রাস, যৌতুকের দাবি ও পারিবারিক সহিংসতা—এসব প্রতিরোধে যেসব আইন হয়েছে, সেগুলোর বাস্তব প্রয়োগ করতে হবে।
বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশও আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালন করছে।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের ঘোষণায় বলা হয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক সহিংসতার অস্ত্র হিসেবে ধর্ষণের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, উত্ত্যক্ত, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন, বে-আইনি ফতোয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কিশোরী নির্যাতন বন্ধে নীরবতা ভেঙে এগিয়ে আসতে হবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নিমূ‌র্লের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সচেতনতা মূলক কর্মসূচিতে নারী ও কন্যাশিশুদের যুক্ত করতে হবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নিমূ‌র্ল কর্মসূচিতে পুরুষসমাজকে যুক্ত করে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার এবং ওসিসির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে হবে। প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার চালুর লক্ষ্যে বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখতে হবে। পরিবার থেকে নারী নির্যাতনবিরোধী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। গৃহপরিচারিকা নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।

লেখকঃ সাংবাদিক,
সমাজকর্মী ও সংগঠক

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com