র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ও বান্দরবান রিজিয়ন এর যৌথ অভিযানে বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম থানা এলাকা হতে আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪,৯৫,০০০ (চার লক্ষ পঁচানব্বই হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১। র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ডাকাত, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, মানবপাচারকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। সাম্প্রতিক কালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মাদক ব্যবসায়ীরা টেকনাফ হতে সাগর পথ ব্যবহার না করে মায়ানমার থেকে সীমান্তবর্তী জেলা বান্দরবানের আলী কদম এবং লামার দূর্গম পাহাড়ী পথ ব্যবহার করে চকরিয়া, চট্টগ্রাম হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইয়াবা পাচার করে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম উল্লেখিত এলাকায় ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। নজরদারী এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে আনয়ন করে বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম থানাধীন সদর ইউনিয়নের উত্তর পালং পাড়া এলাকায় একটি বসতঘরের ভিতর মজুদ করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ০১ অক্টোবর ২০২১ তারিখ ০৫০০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা আসামী ১। মোঃ মনির (২৩), পিতা- হাজী কবির আহাম্মদ, সাং- উত্তর পালং পাড়া এবং ২। মোঃ সাইফুল ইসলাম (১৯), পিতা- দ্বীন মোহাম্মদ, সাং- উত্তর পালং পাড়া, উভয় থানা-আলীকদম, জেলা-বান্দরবান’দের আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের নিজ হেফাজতে থাকা শপিং ব্যাগের ভিতর হতে ৪৯,৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য মতে বসত ঘরের পিছনে মাটির নিচে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থায় ০১টি ড্রামের ভিতর হতে ৪,৪৫,৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সর্বমোট ৪,৯৫,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
৩। এখানে উল্লেখ্য ১নং আসামী তার আরো দুই ভাইয়ের সাথে পার্বত্য অঞ্চলে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তুলছে। উক্ত দুই ভাইও র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারীতে রয়েছে এবং দ্রæত তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে আমাদের প্রত্যাশা।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য তারা টেকনাফের সাগর পথ ব্যবহার না করে বান্দরবান পাবর্ত্য জেলার পাহাড়ী পথ ব্যবহার করে মায়ানমার হতে ইয়াবা ট্যাবলেটের বড় বড় চালান বাংলাদেশে আনয়ন করে পরবর্তীতে তা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকের আনুমানিক মূল্য ১৫ কোটি টাকা। এ অভিযানে বান্দরবান রিজিয়ন র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে।
৫। গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে বান্দরবান পার্বত্য জেলার আলীকদম থানায় হস্তান্তরে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।