শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ফিলিস্তিনের পক্ষে বাগেরহাট জেলা ফোরাম,চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত: দঃ হালিশহর ফুটবল একাডেমির উপ- কমিটি গঠন: চেয়ারম্যান রাসেল, টিম ম্যানেজার বাবলা মেয়র ডা. শাহাদাতের অর্জন: বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা পেল চসিক বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফ্রিডম ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং নির্ণয় কর্মসূচি শুধু শেখ হাসিনা নহে সব লীগেই লুটপাটের সাথে জড়িত: ইপিজেডে থানা ৩৯ প্রশাসনিক ওয়ার্ড এর ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে শাহজাহান চৌধুরী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৩৯ নং ওয়ার্ড ইপিজেড থানার আয়োজনে ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে গণসংযোগ পক্ষ শুরুর ঘোষণা : বাগেরহাট জেলা ফোরাম- চট্টগ্রাম’র আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন বৃটেনের কার্ডিফে মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা, ফিলিস্তিনে ইসরালি গণহত্যার প্রতিবাদ দক্ষিণ হালিশহর উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোখতার আহম্মেদ এর শেষ কর্ম দিবস উপলক্ষে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান: জেলা প্রশাসক জনাব ফরিদা খানম কোরিয়ান ইপিজেড (KEPZ) কর্তৃপক্ষের নিকট ২৪৮৩ (দুই হাজার চারশত তিরাশি) একর জমির দলিল হস্তান্ত করেন:

অবহেলিত রেলওয়ে

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১০.১০ এএম
  • ৬৮৭ বার পঠিত
ফাইল ছবি

প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় অনুমোদিত ৩ হাজার ১৭১ জনবলের বিপরীতে বর্তমানে ২৮টি উপকারখানায় (শপ) কর্মরত আছেন ১ হাজার ২০৪ জন শ্রমিক-কর্মচারী। অর্থাৎ জনবল ঘাটতি ১ হাজার ৯৬৭ জন। অনেকে কমিশন পাওয়ার আশায় দেশে যন্ত্রপাতি না বানিয়ে বিদেশ থেকে আমদানি করতে বেশি উৎসাহী।

কোনো কারখানা কি দুই-তৃতীয়াংশ পদ খালি রেখে চলতে পারে? কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে বলে কথা। আড়াই দশক আগে রেলওয়েতে সোনালি করমর্দনের মাধ্যমে রেলওয়ের লোকবল কমানো হয়েছিল। সেটি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত—মাথাব্যথা সারানোর নামে মাথা কেটে ফেলা।

রেলওয়ের প্রতি আগের সরকারগুলোর অবহেলা এতটাই প্রকট ছিল যে তারা মন্ত্রণালয়টি তুলে দিয়ে একটি বিভাগে রূপ দিয়েছিল। এখন আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় হলেও আগের বদভ্যাস কাটাতে পারেননি রেলওয়ের পদাধিকারীরা। যেখানে একটি কারখানায় অনুমোদিত জনবলের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পদ খালি, সেখানে রেলওয়ের উন্নয়নে সরকার আগ্রহী দাবি করা হাস্যকর। প্রতিবেশী ভারতে যখন রেলপথের সেবা বাড়ানো হচ্ছে, তখন বাংলাদেশে রেলওয়ে সংকুচিত করা আত্মঘাতী ছাড়া কিছু নয়।

রেলওয়ের আয় বাড়াতে হলে এর যাত্রীসেবার মানের পাশাপাশি রেলপথের দৈর্ঘ্যও বাড়াতে হবে। বর্তমানে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় সীমিত লোকবল দিয়ে মাসে যদি গড়ে ২৬টি কোচ ও ২৫টি মালবাহী ওয়াগন মেরামত এবং প্রায় ১ হাজার ২০০ রকমের যন্ত্রাংশও তৈরি সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় লোকবল থাকলে অনেক বেশি কোচ-ওয়াগন মেরামত ও যন্ত্রাংশ তৈরি করা সম্ভব হতো। দেশে এসব রেলওয়ে সরঞ্জাম তৈরি হলে রেলওয়ে যেমন স্বাবলম্বী হবে, তেমনি মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।

অবিলম্বে সৈয়দপুর কারখানায় অনুমোদিত পদে লোক নিয়োগ করে এর উৎপাদন বাড়ানো হোক। রেলওয়েকে স্বাবলম্বী করতে হলে এর বিকল্প নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com