হেলাল উদ্দিন :
চট্টগ্রাম ঐতিহ্যবাহী হালিশহর বড়পোল এলাকায় রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য। যার পশ্চিমে রয়েছে সমুদ্র,পূর্ব দিকে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরী, উত্তরে রয়েছে দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর ও দক্ষিণে রয়েছে ঢাকামুখী গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক সহ শিল্প নগরী।
নগরীর বড়পোল মোড়ের প্রধান সড়কটির ঠিক ২০০ গজ পশ্চিমে রয়েছে মহেশখাল। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মহেশখালের পাড়েই জমে উঠেছে এই প্রথমবার পরিচ্ছন্ন একটি বিশাল গরু-ছাগলের হাট বাজার। যেটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মোট নয়টি অনুমোদিত গরু-ছাগলের হাট বাজারের মধ্যে অন্যতম একটি। নেই কোন কাদা পানি , নেই কোনো যানজট।অভিজাত ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে প্রবেশ করছেন। কেউ কিনছেন কেউ দেখছেন। বাজারটি ঘিরে অংশগ্রহণ করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আশা খামারী গরুসহ মহিষ,ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি।যেন ঈদুল আযহার আনন্দ পুরোটাই নন্দিত হচ্ছে এই হাটে।
কয়েকজন বেপারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য গরুর হাটের তুলনায় এ হাটটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশসম্মত ও সম্পূর্ণ নিরাপদ। বাজার কমিটির ভলান্টিয়াররা প্রতিনিয়ত দেখভাল করছে। হালিশহর থানাধীন প্রশাসনিকভাবে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ব্যাপারীদের খরচও এখানে অনেক কম। তাই আশা করছেন, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এইবার সফল বেচাকেনার সফলতা ঘরে তোলা সম্ভব হবে।
কথোপকথনে প্রতিটি বেপারীর চোখে মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছে ।বাজারটিকে মনোরম ও গুচ্ছিত রাখার জন্য মোট ২১ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বাজার কমিটির পক্ষ থেকে।যাদের অধিকাংশই যুবক, এক প্রশ্নের জবাবে বাজার কমিটির প্রধান জাহেদ ও সোহেল জানান, আমরা একটি সেবা দিতে এই কার্যক্রমটি হাতে নিয়েছি। লাভ লোকসান কে আমরা হিসেবের আওতায় আনিনা। আমাদের মূল লক্ষ্য যুব সমাজকে নিয়ে প্রতিটি ভালো কাজে অংশগ্রহণ করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করাটাই আমাদের প্রাপ্তি। এবং একে অপরের হাত ধরে উন্নয়নমূলক সেবা কার্যক্রম এর মাধ্যমে মানুষের মন জয় করা আমাদের ইচ্ছে। তাছাড়া আমাদের এলাকায় এক একটি হাট থেকে আরেকটি হাটের দূরত্ব অনেক বেশি দূরে।তাই স্থানীয় এলাকাবাসী সহ আশেপাশের এলাকার মানুষগুলো যেন নিরাপদ ভাবে এই হাটে এসে তাদের পছন্দের কোরবানির পশুটি ক্রয় করতে পারেন সেটাই আমরা বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।
অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমাদের এলাকায় একটি গরু-ছাগলের হাট বসেছে,তাই বিভিন্না প্রান্ত থেকে মানুষ আসবেন দেখবেন এটাই আমাদের একটা বড় প্রাপ্তি। তাই আমরা সবাইকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এবং সাধুবাদ জানাচ্ছি এ বাজার কমিটিকে যারা এত সুন্দর একটি আয়োজন করে এলাকাতে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা কে ঘিরে একটি আনন্দের স্রোতধারা সৃষ্টি করেছে।
তাই এই আনন্দ ধরে রাখার জন্য হাট ইজাদরেরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বড় ছোট মাঝারি বিভিন্ন আকারের গরু মহিষ ছাগল গাড়ি গাড়ি আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এবারের হাটে এক হাজার থেকে দেড় হাজার গরু, মহিষ,ছাগল ক্রয় বিক্রি হবে বলে হাট ইজারাদার আশাবাদী।