নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ভোলার চরফ্যাশনে যৌতুক না পেয়ে কুলসুম (২৪) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সাইফুল ইসলাম আকতারের বিরুদ্ধে। নিহত গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আইচা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বুধবার রাতে উপজেলার চর মানিকা ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর মো. কাজল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত কুলসুম উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের উত্তরআইচা গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদারের মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কুলসুমের পাঁচ বছর আগে সাইফুল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময় কুলসুম কে মারধর করতেন স্বামী সাইফুল। কুলসুমের বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ধারদেনা করে ইতিমধ্যে দুই লাখ টাকা জামাইকে দিয়েছেন। সর্বশেষ দাবি করা যৌতুকের টাকা না পেয়ে বুধবার রাতে কুলসুমকে নির্মম নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে স্বামী সাইফুল। একপর্যায়ে গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়লে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দক্ষিণ আইচা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। চিকিৎসক তার স্বাস্থ্যের অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নেয়ার পরামর্শ দেন। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক গৃহবধূ কুলসুমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত কুলসুমের বাবা আব্দুল মজিদ হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করতো সাইফুল ইসলাম। শুধু মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে অভাবের পরও যৌতুকের দাবি পূরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ দাবি করা যৌতুক না পেয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এমন হত্যাকাণ্ডের জন্য সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছে তবে শশুর মো. কাজলকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।