বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রাম মডেল স্কুল’র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী(সা.)উদযাপনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গভীর শোক: সাংবাদিক আরিফিন তুষারের অকাল প্রয়াণ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো “বর্জ্যের বিনিময়ে স্বাস্থ্যসেবা” কর্মসূচি পরিবেশ ও প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের অভিনব উদ্যোগ “ন্যায্য জ্বালানির অঙ্গীকার, নির্মল বায়ু সবার অধিকার”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নীল আকাশের জন্য আন্তর্জাতিক নির্মল বায়ু দিবস-২০২৫ উদযাপন পতেঙ্গায় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল নির্মাণে স্থান পরিদর্শনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা-নূরজাহান বেগম ভোলা জেলা ছাত্র ফোরাম, চট্টগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ-২০২৫ অনুষ্ঠিত এলপিজি গ্যাসের দাম প্রতি কেজিতে কমলো ৩ টাকা কার্যকর সেপ্টেম্বর মাস থেকে উদযাপিত হল অসংখ্য উদ্যোক্তাদের প্রানের প্লাটফর্ম Young Entrepreneurs Success (YES) তরুণ উদ্যোক্তাদ ইয়েস ২১স্কুলের ১০০০ তম দিন ৩৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের উদ্যোগে -২০২৫ ইং এস এস সি মেধাবী মুখ কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনায় : বন্দরটিলা ডাইনামিক নাছির প্লাজা কাঁচাবাজার ও শপিং মলের উদ্বোধন ::

শীতে জবুথবু কুড়িগ্রাম, শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ৭.২৯ এএম
  • ৯০ বার পঠিত

আনোয়ার সাঈদ তিতু,কুড়িগ্রাম বিশেষ প্রতিনিধি :
শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষজন। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টাও করছে। কয়েকদিন থেকে সকালে ও রাতে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে গোটা জনপদ। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে তারা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চরাঞ্চল এলাকায় নদ-নদীর হিমেল হাওয়ায় কাহিল খেটে খাওয়া মানুষজন। ভোগান্তীতে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষাথীরা। অন্যদিকে, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি ও জ্বরসহ শীতের ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার জামাল বাদশাহ বলেন, ‘এতো ঠান্ডা পড়ছে সকালে কাজে করা যায় না, হাত পা বরফ হয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষগুলা খুব কষ্টোত পড়ছি।’
ওই এলাকার কনছোর আলী বলেন, ‘সকালে এতো শীত ঠান্ডা থাকে, ঘর থেকে বাহির হওয়ায় যায় না। রাতে ঠান্ডার কারণে ঘুমে হয় না। এই সময় কম্বল পাইলে হামার অনেক উপকার হয়।’
চিলমারী ইউনিয়নের করাইবরিশাল এলাকার একজন বলেন, ‘শীত মৌসুম এলে হামার চরাঞ্চল মানুষের খুব বিপদ আইসে। কারণ, শীত ও ঠান্ডা বেশি লাগে কাজ কাম করা যায়, রাতে ঠিকমতো ঘুমও হয় না। খালি বাতাস লাগে। কাইয়ো হামার এইদিক এলাও কম্বল দিবের আইসে নাই।’একই ইউনিয়নের মমিন মিয়া (৫০) বলেন, ‘শীত আইসলে চরে জমিতে আবাদ করা খুব সমস্যা। কয়েক দিন থাকি শীত ও ঠান্ডা থাকায় জমিতে কাজ করতে পারছি না।’কুড়িগ্রাম পৌর শহরের স্কুলের একজন শিক্ষাথী বলেন, সকালে স্কুলে যেতে হয়। কয়েক দিন থেকে যে শীত ও ঠান্ডা পড়েছে স্কুল যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। স্কুল না গেলে তো লেখাপড়ার ক্ষতি হবে, তাই কষ্ট করে হলেও স্কুলে যেতে হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com