মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়া শেরপুর সীমাবাড়ী সেতেরা রব্বানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির পরীক্ষার্থী রাস্তা পারাপারে এক মহৎ উদ্যোগ ভোলা-বরিশাল সেতু, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ সহ অন্যান্য দাবি তে আগামীর ভোলা ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ চট্টগ্রামে পদ্মা উঠলো মেয়র একাডেমি কাপ অ-১৩ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৫ জামায়াতের উদ্যোগে চট্টগ্রামের বির্জাখাল খনন কার্যক্রম ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী ডা. মামুনুল ইসলাম চৌধুরীর মায়ের জিয়াফত অনুষ্ঠান সম্পন্ন : পথশিশুদেরকে সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল ধারায় ফেরানো শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করেন সিএমপি কমিশনার ফিলিস্তিনের পক্ষে বাগেরহাট জেলা ফোরাম,চট্টগ্রাম’র উদ্যোগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত: দঃ হালিশহর ফুটবল একাডেমির উপ- কমিটি গঠন: চেয়ারম্যান রাসেল, টিম ম্যানেজার বাবলা মেয়র ডা. শাহাদাতের অর্জন: বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা পেল চসিক বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফ্রিডম ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং নির্ণয় কর্মসূচি

শীতে জবুথবু কুড়িগ্রাম, শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ৭.২৯ এএম
  • ৪৪ বার পঠিত

আনোয়ার সাঈদ তিতু,কুড়িগ্রাম বিশেষ প্রতিনিধি :
শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষজন। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টাও করছে। কয়েকদিন থেকে সকালে ও রাতে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে গোটা জনপদ। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে তারা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চরাঞ্চল এলাকায় নদ-নদীর হিমেল হাওয়ায় কাহিল খেটে খাওয়া মানুষজন। ভোগান্তীতে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষাথীরা। অন্যদিকে, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, কাশি ও জ্বরসহ শীতের ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার জামাল বাদশাহ বলেন, ‘এতো ঠান্ডা পড়ছে সকালে কাজে করা যায় না, হাত পা বরফ হয়ে যায়। আমরা গরিব মানুষগুলা খুব কষ্টোত পড়ছি।’
ওই এলাকার কনছোর আলী বলেন, ‘সকালে এতো শীত ঠান্ডা থাকে, ঘর থেকে বাহির হওয়ায় যায় না। রাতে ঠান্ডার কারণে ঘুমে হয় না। এই সময় কম্বল পাইলে হামার অনেক উপকার হয়।’
চিলমারী ইউনিয়নের করাইবরিশাল এলাকার একজন বলেন, ‘শীত মৌসুম এলে হামার চরাঞ্চল মানুষের খুব বিপদ আইসে। কারণ, শীত ও ঠান্ডা বেশি লাগে কাজ কাম করা যায়, রাতে ঠিকমতো ঘুমও হয় না। খালি বাতাস লাগে। কাইয়ো হামার এইদিক এলাও কম্বল দিবের আইসে নাই।’একই ইউনিয়নের মমিন মিয়া (৫০) বলেন, ‘শীত আইসলে চরে জমিতে আবাদ করা খুব সমস্যা। কয়েক দিন থাকি শীত ও ঠান্ডা থাকায় জমিতে কাজ করতে পারছি না।’কুড়িগ্রাম পৌর শহরের স্কুলের একজন শিক্ষাথী বলেন, সকালে স্কুলে যেতে হয়। কয়েক দিন থেকে যে শীত ও ঠান্ডা পড়েছে স্কুল যেতে খুব কষ্ট হচ্ছে। স্কুল না গেলে তো লেখাপড়ার ক্ষতি হবে, তাই কষ্ট করে হলেও স্কুলে যেতে হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com