সিটি প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম :
স্বৈরাচার সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে অন্যান্য জায়গার মত চট্টগ্রামেও একটি স্বার্থনেসীমহল জোরপূর্বক ভূমি দখল, অফিস ভাংচুর হামলা সহ কোটি টাকা চাঁদা দাবি অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকির পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগ উঠেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ইপিজেড থানাধীন ব্যারিস্টার কলেজ সংলগ্ন ডলফিন ভিউর মালিক (অবসর প্রাপ্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনী ) শাহীন রেজা চৌধুরীর উপর। এ বিষয় তিনি ইপিজেড থানায় অদ্য ১২/০৯/২০২৪ একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নং ৬২৩। সাধারণ ডায়েরিতে তিনি অভিযোগ করে বলেন-
আমি মোঃ শাহীন রেজা চৌধুরী গং (৪৩), পিতা: সফিউদ্দিন চৌধুরী, মাতা : সুফিয়া বেগম, জাতীয় পরিচয় পত্র নং : ৫৯৫৩৮৩১৪৮৩ , ঠিকানা(বর্তমান)-আমেনা নূর টাওয়ার আলিশাহ মসজিদের পাশে, গ্রাম – তালতলা, ইউনিয়ন/ওয়ার্ড- ৩৯ নং ওয়ার্ড, দক্ষিণ হালিশহর, থানা – চট্টগ্রাম ইপিজেড, জেলা – চট্টগ্রাম।
আমরা গত ২৩/০১/২০২৪ ইং তারিখে ব্যারিস্টার কলেজ সংলগ্ন এস এ পরিবহনের পূর্ব পাশে ১৭.৫০ শতক জায়গা খরিদ করি, যাহার বি এস দাগ নং-৮৪৩২ এবং আমাদের নামে বি এস খতিয়ান নং ১০৯৫৬ মতে প্রচার আছে। উক্ত জায়গা “ডলফিন ভিউ” নামে নামকরণ করা হয়। গত ০৬/০৯/২০২৪ ইং তারিখে আমাদের অনুপস্থিতিতে বিবাদী ১। মোঃ কবির আহমেদ(৬৬) পিতা- মৃত ছালেহ আহাম্মদ, মাতা- ছকিনা খাতুন, সাং ৪৪/এ, এপার্টমেন্ট, বি-৪ রাস্তা নং ১১৬ গুলশান ঢাকা, ২। জোবায়ের কবির জুবিন(৪৫) পিতা- কবির আহমেদ, সাং ৪৪/এ, এপার্টমেন্ট, বি-৪ রাস্তা নং ১১৬ গুলশান ঢাকা সহ প্রায় ১৫/২০ জন অজ্ঞাত নামা দুষ্কৃতকারী নিজেদেরকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোক বলিয়া পরিচয় প্রদানপূর্বক আমাদের অফিসের কর্মচারী মোঃ ফরহাদ হোসেন কে ভয়ভীতি ও হুমকী-ধামকী দেয়। এছাড়াও জোর পূর্বক আমাদের অফিসের ভিতরে প্রবেশ করে বিভিন্ন কাগজপত্রাদীর ছবি তুলে এবং আমার কর্মচারীকে দেড় কোটি টাকা দিতে আমাকে অবগত করতে বলিয়া চলে যায়, অন্যথায় আমার প্রাণনাশের হুমকী দেয়। পরবর্তীতে আমি এই বিষয়ে কোনপ্রকার দেনদরবার না করায় অদ্য ১২/০৯/২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক সকাল ১০.২০ ঘটিকার সময় উক্ত সন্ত্রাসীরা আবারও সংঘবদ্ধ হইয়া আমার অনুপুস্থিতে অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতঃ সংরক্ষিত প্রজেক্টের সকল সি.সি ক্যামেরা ও সাইনবোর্ড ভাংচুর করে এবং আমার ভাড়াটিয়াগণকে বাসা খালি করত অতিসত্বর বের হয়ে যেতে বলে। পরবর্তীতে আমি খবর পাইয়া আনুমানিক ১১০০ ঘটিকায় প্রজেক্ট অফিসে আসিলে উক্ত সন্ত্রাসীরা আমার অফিসের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে আমাকে জিম্মি করে রাখে এবং বিশ্রী ভাষায় গালি গালাজ করে ও প্রাণে মেরে ফেলার জন্য উদ্বীত হয় । পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এবং অফিসের স্টাফের সহযোগীতায় ইপিজেড থানা হতে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং সন্ত্রাসীরা তালা খুলিয়া পালিয়ে যায়।
এমতাবস্থায়, উপরোক্ত বিষয়টি ভবিষ্যতের জন্য সাধারন ডায়েরীভূক্ত করিয়া রাখা একান্ত প্রয়োজন বিধায় উক্ত ডায়েরীটি ইপিজেড থানায় লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়।