মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো কেয়া মণি’র লেখা “অভ্যস্ত পাথর” কবিতাটি অপরাজনীতি বিপক্ষে রুখে দাঁড়াতে ছাত্রদল প্রস্তুত রয়েছে – মতবিনিময় সভায় সাইফুল আলম মানব সময় সাহিত্যে প্রকাশিত হলো রীতা জেসমিন এর লেখা “গোধূলি’ তজুমদ্দিনে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মানববন্ধন: বেনাপোল যানজট নিরসনে পোর্ট থানার নবাগত ওসি ও সার্জেন্টের ঝটিকা অভিযান রামপুর ওয়ার্ড বিএনপি উদ্যোগে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বে -শপিং সেন্টার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার চট্টগ্রাম এর অভিযান ও জরিমানা : বেনাপোল পুলিশের অভিযানে আটক- ৫ চট্টগ্রাম মডেল স্কুলে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন

সুস্থ চাহিদা ও চাহিদা পরিপূরণ যৌন শিক্ষা অত্যাবশ্যক (টুম্পা পাল, কলকাতা)

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮.৫৫ এএম
  • ২৪ বার পঠিত

মানব সময় সাহিত্য পাতা :
মানব জীবনের দুটি চাহিদা একে অপরের পরিপূরক। মানসিক চাহিদা এবং দৈহিক চাহিদা।
আমাদের জন্মগত সহজাত গুণ বা প্রবৃত্তির কারণে একটা মানুষের থেকে অন্য মানুষকে আলাদা করে। প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা এবং সেই চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা অনেকটাই সহজাত প্রবৃত্তির ওপর নির্ভর করে। দৈহিক চাহিদা যেমন মানসিক চাহিদাকে প্রভাবিত করে আবার মানসিক চাহিদাও দৈহিক চাহিদাকে প্রভাবিত করে। আমাদের মৌলিক চাহিদা হল খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা। খাদ্য ছাড়া আমরা ১৫ দিন বেঁচে থাকতে পারি। বাকিগুলো ছাড়া আমরা পশুর মত বাঁচি। দৈহিক চাহিদা মধ্যে খাদ্যের চাহিদা এবং যৌন চাহিদা অধিক মাত্রায় প্রকট আর এই চাহিদার তীব্রতাই মানসিক চাহিদাকে বেশি নিয়ন্ত্রণ করে।
মানসিক চাহিদা যথাযথভাবে পরিপূরণ না হলে হতাশার শিকার হয়, যা বর্তমান জীবনযাত্রায় অহরহ দেখা যায়। দৈহিক চাহিদা বা জৈবিক চাহিদা একটি বিশ্বব্যাপী চাহিদা যা মানুষের প্রাথমিক চাহিদা। জন্মের সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই এই চাহিদা থাকে। যৌনতা মানবদেহের অত্যন্ত স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি চাহিদা। প্রাণী মাত্রই এই চাহিদা পূরণের জন্য শারীরিক এবং মানসিক আকাঙ্ক্ষা অনুভব করে। এই চাহিদা পূরণের জন্য অনেকেই সর্বোচ্চ ত্যাগ করতেও প্রস্তুত। যদিও এটি মৌলিক চাহিদা নয়, তবু এটিকে অত্যাবশ্যক চাহিদার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাই এই চাহিদা পরিপূরণের জন্য পরিবার এবং রাষ্ট্রকে সঠিক ভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। এই জৈবিক চাহিদা কখনো সরাসরি কখনো বা অন্য কিছুর আশ্রয়ে মানুষ পূরণ করে যেমন কল্পনা বা দিবাস্বপ্ন, সাহিত্য সংস্কৃতি বিনোদন ইত্যাদি । এই মাধ্যমে চাহিদা পূরণে অন্য করো ক্ষতি হয়। কিন্তু যাদের চাহিদা পশুত্বের রূপ ধারণ করে তাঁরা সমাজের ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়ায়।
মানসিক চাহিদার ওপর জৈবিক চাহিদা কম বা বেশি হতে পারে। আবেগ, প্রেম, অভিমান, মা বা প্রেমিকার আদর এগুলো মৌলিক মানবিক চাহিদা যা প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব ধারণার উপর নির্ভর করে। এই মানসিক চাহিদাগুলি যৌন চাহিদার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। যৌন চাহিদা যেহেতু আমাদের জন্মগত। তাই শৈশব ও কৈশোরেও এই চাহিদা থাকে। তারা তাদের স্বাভাবিক পদ্ধতিতে এইগুলো পূরণের পথ খুঁজে নেয়। যেহেতু যৌবনের চাহিদা অনেকটা উগ্র, এবং মাঝে মাঝে তা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে অতিমাত্রায় উৎসুকতা ও জানার আগ্রহের কারণে । এবং আমাদের সুস্থ সমাজ ও সংস্কৃতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বয়সন্ধিকালে যৌন শিক্ষা অত্যাবশ্যক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2021 manobsomoy
Theme Developed BY ThemesBazar.Com