মানব সময় ডেস্ক :

১।বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

২।র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানাধীন নাজিরহাট এলাকার একটি গোডাউনের ভিতর মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য মজুদ করে রাখছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ০৭ মে ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ১৭১৫ ঘটিকায় র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মোঃ ইসমাইল (৩৮), পিতা-মৃত আঃ শুকুর, সাং-পশ্চিম সুয়াবিল, থানা-ভূজপুর, জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামি’কে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী কালে স্বীকারোক্তি এবং নিজ হাতে বের করে দেওয়া মতে গোডাউনের ভিতর বিশেষ কৌশলে রক্ষিত অবস্থায় ০১টি প্লাষ্টিকের বস্তা হতে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামি’কে গ্রেফতার করা হয়।

৩।গ্রেফতারকৃত আসামি’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মহানগরীর এবং জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মুল্য ৩ লক্ষ টাকা।

৪।গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।