নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলা :
ভোলা ০৪ আসনে চরফ্যাসন ও মনপুরার জাতীয় সংসদ সদস্য হিসাবে নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশী – জনাব মেজবাহ উদ্দিন এর জীবন বৃত্তান্ত :
দ্বীপ জেলা ভোলার কৃতী সন্তান জনাব মেজবাহ উদ্দিন এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম আলহাজ্ব বজলুল রহমান ছিলেন শিক্ষাগুরু।তার মাতা মরহুমা সাবেরা খাতুন ছিলেন গৃহিনী। প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় দৌলতখান নিজ বাড়ি সংলগ্ন হাজিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ ম শ্রেণি পর্যন্ত তিনি ঐ বিদ্যালয়ে পড়েলেখা করেন।১৯৭৪ সালে ঐ স্কুল থেকে বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পান। তারপর ভর্তি হন স্থানীয় হাজিপুর হাইস্কুলে।৬ ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেনি পর্যন্ত তিনি এ স্কুলে পড়েন এবং ৮ম শ্রেনিতে বৃত্তি পরীক্ষা দিয়ে বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৭৬ সালের শুরুতে বাবার কথা অনুসারে ফুফুর বাড়ি চলে যান এবং ঐতিহ্যবাহী মির্জাকালু স্কুলে নবম শ্রেনিতে ভর্তি হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মির্জাখালু উচ্চ বিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক নির্বাচিত হোন। ১৯৭৯ সালে ঐ সময়ে ৭৩৮ নাম্বার পেয়ে এস.এস.সি পাশ করেন।
তিনি ১৯৮০ সালের শুরুতে ভোলা সরকারি কলেজে ভর্তি হন।এখানে ভর্তি হবার পর তিনি সরাসরি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে যান।১৯৮১সালে ভোলা সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি তে ১ম বিভাগ পেয়ে উত্তীর্ন হন।এরপর ভর্তি হন ঢাকার শেরে বাংলা কৃষি কলেজে যা বর্তমানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিচিত।১৯৮৬ সালে কৃষি বিষয়ে বিএসএস (অনার্স)ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা আসার পর থেকে রাজনীতির গতি আরও বেগবান হয়।তৎকালীন সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন শংকর কুৃমার গোস্বামী। সাধারন সম্পাদক ছিলেন আওয়ামীলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জননেতা বাহাউদ্দিন নাছিম ।আর জনাব মেজবাহ উদ্দিন ছিলেন প্রচার সম্পাদক। পরে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি হন এবং ১৯৮৭/৮৮ সালে দলীয় কাউন্সিল না হওয়ায় তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
পরবর্তীতে ২০০৯ সনে ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন।
পরবর্তীতে তিনি ১৯৯৩ সালে ১ এপ্রিল সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রট হিসাবে কিশোরগন্জ কালেকটরেটে যোগদান করেন।১৯৯৬-২০০০ সাল পর্যন্ত ঢাকার তেজগাঁওে এসিল্যান্ডের দায়িত্ব পালন করেন।২০০১ সালে সিনিয়র সহকারী সচিব হয়ে দায়িত্ব পালন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়।
২০০৩ -২০০৭ পযান্ত উপজেলা নির্বাহী হিসাবে পটুয়াখালীর গলিচিপা উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার।২০০৮ সালে পাবনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।এরপর ২০০৯-২০১১ পযান্ত মাননীয় বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানলয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন।২০০১২-২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক।
তারপর ২০১৪-২০১৬ পযান্ত চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ( সারা বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক ২০১৫) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব মেজবাহ উদ্দিন পরবর্তীতে ২০১৭-২০২০ পযান্ত স্হানীয় সরকার বিভাগের প্রথমে যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব ছিলেন।
জনাব মেজবাহ উদ্দিন গত ১২ জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে যোগদান করেন।
মেজবাহ উদ্দিন দেশে-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে পেশাগত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি সরকারী দায়িত্বের অংশ হিসাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তিনি গুড গভর্নেন্স বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ভারত ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া তিনি দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আমেরিকা হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
তিনি সরকারী দায়িত্বের অংশ হিসেবে দক্ষিণ- আমেরিকা,সুইজারল্যান্ড, অষ্টেলিয়া,সংযুক্ত আরব আমিরাত,হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, মিশর,মালদ্বীপ ও ভারত ভ্রমণ করেন।
সাংগঠনিক দায়িত্বভার:
*কোষাধ্যক্ষ, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা , মেয়াদকাল: ২০১৭-২০১৯
*সাধারণ সম্পাদক, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, মেয়াদকাল: ২০১৯- বর্তমান দায়িত্বরত।
*মহাসচিব, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালুমনাই এসোসিয়েশনের মেয়াদকাল :২০১৬- বর্তমান দায়িত্বরত।
*সভাপতি, বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন।
* সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি, আজকের বিজনেস বাংলাদেশ, ঢাকা।
* সম্পাদক, ইংরেজী দৈনিক Daily Bangladesh Update.
*উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি, ছাবেরা ফাউন্ডেশন।
*উপদেষ্টা, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা।
*সভাপতি, একাদশ বিসিএস ফোরাম।
*সভাপতি, রোটারি ক্লাব অব ঢাকা এলিট( ইলেক্ট)।
*উপদেষ্টা, ঢাকাস্থ ভোলা সমিতি।
*সহ-সভাপতি : বরিশাল বিভাগ অফিসার্স ফোরাম।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ইশরাত জাহান এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং এক কন্যা সন্তানের জনক। তার কন্যা মাশিয়াত মোবাশ্বেরা রোদশী ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল সম্পন্ন করেছে ।