মানব সময় ডেস্ক :
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। ভিকটিম মকছুদ আলম বিপ্লব (৩৭) ফেনী জেলার সোনাগাজী এলাকায় বসবাস করতেন। আসামী আলী মর্তুজা এবং মোঃ করিমুল হক এর সাথে ভিকটিমের দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে আসামীরা ভিকটিমকে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করে আসছিল। ভিকটিম বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবহিত করেন। কিন্তু আসামীগণ কর্তৃক ভিকটিমকে হয়রানি অব্যাহত থাকে। দীর্ঘদিন যাবৎ আসামীদের দায়েরকৃত হয়রানিমূলক বিভিন্ন মামলায় বিজ্ঞ আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিতে দিতে ভিকটিম আর্থিক এবং মানসিকভাবে ভেংগে পড়েন। অনবরত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত এ হয়রানি সহ্য করতে না পেরে গত ০৮ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে ভিকটিম নিজের জীবনের প্রতি আশাহত হয়ে তার বসতঘরে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের আইডি থেকে ভিকটিম নিজের ভিডিওতে বর্ণিত আসামীদের হয়রানি করার বিষয়টি প্রকাশ করেছিল। মূলতঃ মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনে হতাশাগ্রস্থ হয়ে ভিকটিম আত্মহত্যার মত জঘন্যতম পথ বেছে নেয়।
৩। দীর্ঘদিন যাবৎ ভিকটিমকে মানসিক নির্যাতন ও হয়রানি করে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার জন্য ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ০৪ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামী করে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ১২/৫৮ তারিখ ১০ মার্চ ২০২৩ ধারা ৩০৬ পেনাল কোড ১৮৬০।
৪। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারেন যে, বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ০৩নং আসামী আলী মর্তুজা আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২০ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ ১৯০০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী আলী মর্তুজা (৪৮), পিতা-মৃত সৈয়দ আহমেদ, সাং-চরখোয়াচ, থানা- সোনাগাজী, জেলা- ফেনীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আসামী আলী মর্তুজার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকা মহানগরীর শাহবাগ থানাধীন হাইকোট এলাকা হতে র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল ২১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ রাত ০০৩০ ঘটিকায় বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ৪নং আসামী মোঃ করিমুল হক (৩২), পিতা-আজিজুল হক, সাং-দক্ষিণ চর চান্দিয়া, থানা- সোনাগাজী, জেলা- ফেনীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা বর্ণিত ঘটনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত এবং ঘটনার পর হতে সে পলাতক রয়েছে বলে অকপটে স্বীকার করে।
৫। উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ করিমুল হক (৩২) এর বিরুদ্ধে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাই এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ১০টি এবং কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ০১টি সহ মোট ১১ টি মামলা পাওয়া যায়।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।